পাকিস্তান অবজারভার
১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২
গুলি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবীতে দশজন রাজনৈতিক নেতার বিবৃতি। ( নিজস্ব প্রতিবেদক)
আমরা তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জানাই গতকাল (সোমবার) ঢাকায় শান্তিপূর্ণ ও নিরস্ত্র ছাত্র বিক্ষোভকারীদের উপর চলমান দায়িত্বজ্ঞানহীন পুলিশ নৃশংসতার বিরুদ্ধে। আমরা অত্যন্ত মর্মাহত এসব অপেশাদারসুলভ এবং বেপরোয়া কর্মকান্ডে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্ত করেন যে পুলিশ নিরস্ত্র ছাত্র এবং সাধারণ জনতার উপর আকস্মিক আক্রমণাত্মক অবস্থা নেন এবং হঠাৎ তাদের উপর গুলি শুরু করে।
শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য পর্যাপ্তভাবে প্রদর্শিত হয়েছিল যখন তারা ১৪৪ ধারার আদেশ লঙ্ঘন করেনি যেটা পূর্বে গত ১০ সেপ্টেম্বর আরোপ করা হয়েছিল।
‘আমরা অনুভব করেছিলাম যে এমন শান্তিপূর্ণ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কিছুতেই ন্যায্যতা প্রতিপাদন করতে পারবে না যে কেন তারা মিলিটারি ডেকে পাঠিয়েছিল এবং ১৪৪ ধারা জারি হওয়ার এবং সরকারি ঘোষনার পূর্বেই কেন শান্তিপূর্ণ মিছিলে ধাওয়া, পেটানো এবং নৃশংসভাবে মারধোর এবং গুলি করা হয়েছিল এবং কেন খুব ভোরেই বিভিন্ন হল, হোস্টেল এবং কলেজগুলো পুলিশ এবং ইপিআর সদস্যদের দিয়ে ঘেরাও করা হয়েছিল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছিল।‘
সরকারের এসব সংঘবদ্ধ কর্মকান্ড দেশে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। আমরাএসবমর্মান্তিকঘটনাতদন্তকরারজন্যএকটিতাৎক্ষণিকবিচারবিভাগীয়তদন্তেরআদেশদিতেসরকারেরপ্রতিআহ্বানজানাচ্ছিযেটিএকটিউচ্চআদালতেরবিচারকসভাপতিত্বকরবেন।আমরাআরওদাবিকরছিআটকব্যক্তিদেরঅবিলম্বেমুক্তিরএবংমৃতওআহতদেরপরিবারেরপর্যাপ্তক্ষতিপূরণপরিশোধের।
আমরা পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝাতে সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে বাধ্যতা বোধ করছি এবং এরকম সংঘবদ্ধ ঘটনার ভয়ঙ্কর পরিণতি এবং ছাত্র এবং তাদের অভিভাবকদের ন্যায্য দাবি পূরণের জন্যে সরকারের কাছে জোরালো সুপারিশ করছি।“
এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, (১) জনাব এইচ.এস. সোহরাওয়ার্দী, (২) নুরুল আমিন, (৩) আতাউর রহমান খান, (৪) আবু হুসেইন সরকার, (৫) এসকে. মুজিবুর রহমান, (৬) ইউসুফ আলী চৌধুরী (মোহন মিয়া), (৭) মাহমুদ আলি, (৮) মোহসেনউদ্দিন আহমেদ (দুদু মিয়া), (৯) সৈয়দ আজিজুল হক এবং (১০) শাহ আজিজুর রহমান।