জীবনচিত্র -নামঃ ডা. আ. আ. শামসুল হক
Dr. A.A. Shamsul Haque
-ডাকনামঃ শামসুল
-পিতার নামঃ হাজি হাফেজ উদ্দিন
-পিতার পেশাঃ কৃষিজীবী, চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ (১৭ বছর)।
-মাতার নামঃ জমুরুন নেছা।
-ভাইবোন সংখ্যাঃ পাচঁ ভাই, তিন বোন; নিজক্রমঃ চতুর্থ
-ধর্মঃ ইসলাম
-স্থায়ী ঠিকানাঃ বাঙালীপুর, রংপুর সড়ক-২২, ওয়ার্ড ০৬,
ডাকঘর/উপজেলাঃ সৈয়দপুর, জেলাঃ নীলফামারী।
শহীদ ডা. আ. আ. শামসুল হক
নিহত হওয়ার সময় ঠিকানাঃ ঐ
জন্মঃ ১৯৩১
শিক্ষাগত যোগ্যতা
এলএমএফঃ ১৯৫৭
শখঃ সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা
সমাজসেবা : রেডক্রসের আজীবন সদস্য, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং সৈয়দপুর প্রাচীন শিল্প, সাহিত্য সংসদের অন্যতম সদস্য
হত্যাকারীর পরিচয়ঃ পাকিস্তান সেনাবাহিনী
নিহত হওয়ার তারিখঃ ১২ এপ্রিল ১৯৭১
স্মৃতিফলক/স্মৃতিসৌধঃ বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ চিকিৎসক স্মৃতিফলকে নামাঙ্কিত আছে।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হিসেবে সাহায্য/দান/পুরস্কারঃ পাননি
সন্তান-সন্ততিঃ চার পুত্র, তিন কন্যা
এরশাদ হোসেন দুলুঃ প্রয়াত
সাখাওয়াৎ হোসেন খোকনঃ এমকম(ব্যবস্থাপনা), সৈয়দপুর ডিগ্রি কলেজ
শামিম আরা বেগমঃ বিএ
লিয়াকত হোসেন লিটনঃ এমএ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), পিও, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
লায়লা হকঃ বিকম
মাসুদ হোসেনঃ বিএ, শার্প বাংলাদেশ এনজিও
আফরোজা বেগম লাভলীঃ অষ্টম শ্রেণী। প্রয়াত
তথ্য প্রদানকারী
অধ্যাপক সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন
শহীদ চিকিৎসক দ্বিতীয় পুত্র
বাঙালীপুর, রংপুর সড়ক
সৈয়দপুর, নীলফামারী
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ ৪১
শহীদ ডা. আ. আ. শামসুল হক
নারায়ণ প্ৰসাদ
২৭ মার্চ ১৯৭১ আমার বাবাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পাকসেনারা। কারফিউ চলাকালে সকালবেলা একটি সামরিক জিপে করে চার সামরিক লোক এবং দু’জন স্থানীয় অবাঙালি অস্ত্রশস্ত্ৰসহ এসে নক করে। দরজা খুললে তারা ঘরে ঢুকে সিন্দুক খুলে সমস্ত সোনাদানা, টাকা-পয়সা নেয় এবং বাড়িতে অথবা দোকানে ওয়্যারলেস আছে বলে অভিযোগ করে। পরিশেষে আমাকে একটি লাথি মেরে ফেলে দিয়ে আমার বাবাকে জিপে করে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যায়।
৯ এপ্রিল বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে জনৈক অবাঙালি এসে আমাকে টেলিগ্রাফ অফিসে সামরিক কর্তৃপক্ষ ডাকছে বলে জানায়। সাথে আমার ছোট ভাইকেও নেয়ার নির্দেশ দেয়। ধৃত অবস্থায় আমার ছোট ভাই এবং আমাদেরই ভাড়াটে একজন স্বর্ণকারকে উল্লিখিত স্থানে জনৈক মেজরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। নামধাম জিগ্যেস করার পর মেজর আমাদের বন্দি করার নির্দেশ দেয়। তারপর থানায় নেয়া হয়। সর্বমোট ২৪-২৫ জনকে একত্রে বন্ধ ওয়াগনে করে কড়া সামরিক পাহারায় ক্যান্টনমেন্ট নেয়া হয়। ক্যান্টনমেন্টে নামানোর সাথে সাথে সবার এক হাত করে বেঁধে গেঁথে স্থানীয় অবাঙালি ও পাক সৈন্যরা বেদম প্রহার শুরু করে। বেল্ট, বেত, লাথি, চড়, কিল, ঘুষি এবং রাইফেলের বাঁট, বৈদ্যুতিক তার দিয়ে প্রহার করতে থাকে এবং বলতে থাকে ‘আচ্ছা চিজ মিলা’ । মারের পর্ব শেষ হলে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে ছোট ঘরে ১০-১২ জনকে ঢোকায়।
তারপর সবাইকে আবার বারান্দায় বের করে দেয়ালের দিকে মুখ করে হাত দেয়ালের সাথে ফাঁক করে রেখে দাঁড় করায় এবং ঐ অবস্থায় ওয়াপদার মোটা বৈদ্যুতিক তার দিয়ে প্রহার করতে থাকে। এ অবস্থায় অত্যাচার চলার পর প্রাচীরের সাথে যে বাঁশ টাঙানো ছিল সে বাঁশের সাথে কোমরে দড়ি বেঁধে উল্টো অবস্থায় টাঙিয়ে দেয় এবং পিঠে প্ৰহার করতে থাকে।
এ সময় টিঅ্যান্ডটি ডিপার্টমেন্টের ঐ ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে এখানে আমার কে কে আছে? আমি আত্মীয়দের সাথে আমার যুবতী মেয়ের
৪২ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ
শহীদ ডা. আ. আ. শামসুল হক
কথাও বলি। তখন ঐ পশুরা বলে যে তোমার সেই ১৫-১৬ বছরের মেয়েকে এখনই এখানে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং এদের সামনে তোমাকে তোমার মেয়ের সাথে ‘সহবাস’ করতে হবে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ঐখানেই সবাই ছিলাম। যে আসত সে-ই মারত এবং ‘কাফের লোক কো খতম করো’ বলে গাল দিত। এ সময় কয়েকজন দাড়িওয়ালাকে জিগ্যেস করে যে তোমরা মুসলমান কিনা এবং নামাজ পড় কিনা? হ্যাঁ-বাচক উত্তর দিলে তাদের কলেমা পড়তে বলে। কলেমা পড়তে থাকলে তাদের ধমক দিয়ে থামিয়ে দেয় এবং বলে যে, ‘তোম লোগ কাফের হ্যায়, তুম ঝুট বলতা হ্যায়।’
সন্ধ্যার পরে একটি ঘরে সবাইকে বসায় এবং শুকনো রুটি ও ডাল এনে দেয়। খাবার পর মুসলমানেরা নামাজ পড়তে চাইলে তাদের মসজিদে না যেতে দিয়ে সেখানেই নামাজ পড়তে নির্দেশ দেয়। নামাজ পড়া যেই শেষ হয়েছে অমনি জনৈক কোয়ার্টার মাস্টার বেত হাতে এসে প্রহার শুরু করে। তোমলোগ নামাজ পড়তা হ্যায়। তোমালোগ বাঙালি মুছলমান, তোমলোগ কাফের হ্যায়।
সেখান থেকে অতঃপর আর এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অনেকগুলো বেঙ্গল রেজিমেন্টের লোক বন্দি অবস্থায় ছিল। সেখানে দরজা খুলে সবাইকে ঢুকিয়ে দেয়। তারা সংখ্যায় প্রায় ৫০-৬০ জন ছিলেন। ঘন্টাখানেক পর উল্লিখিত কোয়ার্টার মাস্টার দরজা খুলে সিভিলিয়ানদের বেরিয়ে আসতে নির্দেশ দেয় এবং বেরিয়ে এলে অন্য আর একটি ছোট বন্ধ ঘরে নিয়ে যায়। কেউ যেন না বসে এমন নির্দেশ দিয়ে সে চলে যায়। তার কিছুক্ষণ পরে ঐ একই ব্যক্তি এক এক করে ঘরের বাইরে ডেকে নেয় এবং আমাদের প্রতি অকথ্য অত্যাচার করতে থাকে। যখন আমার পালা আসে তখন আমাকে জিগ্যেস করা হয়, ‘শহরে কে কে বাংলাদেশের পতাকা তুলেছিল, কে কে মুজিব ত্ৰাণ ফান্ডে চাঁদা দিয়েছে এবং কে কে নেতা?”
পরদিন একজন এসে আমাদের বন্দি করতে নির্দেশ দেয়। তখন আমার পূর্বে ধৃত আমার বাবার খবর জানতে চাইলে তাদের সবাইকে যে ঘরে আমার বাবা এবং স্থানীয় এমপিএ, ডা. জিকরুল হকসহ ১৫-১৬ জন বন্দি ছিলেন সেখানে বন্দি করে রাখে। কিছুক্ষণ পরে মেজর জাভেদ এসে সবাইকে একদিক থেকে ঐ ঘরেই প্রহার করে। ডা. জিকরুল হককে প্রহার করার সময় সে বলে, ‘ডা. জিকরুল হক তোম বলতা হ্যায় মিলিটারি ফাঁকা ফায়ার করতা হ্যাঁয়। বানচোত, তোম সবকো গুলি কর দে গা।’ তারপর ক্যাপ্টন বখতিয়ারলাল আসে এবং একই প্রক্রিয়ায় অত্যাচার করে।
পরদিন সন্ধ্যায় ক্যাপ্টেন গুল এসে তার মাথার শিরস্ত্ৰাণ খুলে তা দিয়ে সবাইকে প্রহার করে। মারের চোটে কেউ চিৎকার করতে চাইলে সে বলত, চিৎকার মাৎ কারো। এদিন ডাক্তার সাহেবকে বেশি অত্যাচার করে ও অকথ্য এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে। তাঁকে লাথি দিয়ে বাইরে ফেলে দেয় এবং সেখানে তার প্রতি গুল ও অন্য মিলিটারিরা হৃদয়হীনভাবে অত্যাচার করে। এতে তার চশমা ভেঙে যায়, মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। অতঃপর তার মাথা ব্যান্ডেজ করে লাথি মেরে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়।
ডাক্তার সাহেব ঘরে ঢুকলে সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন। ডাক্তার সাহেব সবাইকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘ওরা অত্যাচার করুক না। আজ না হয় কাল দিন আসবে, বাংলাদেশ স্বাধীন হবে।”
১২ এপ্রিল সকালে সেন্ট্রি এসে জানায় যে, আপনাদের যা খাবার খেয়ে নেবেন, আপনাদের আজ কোথাও যেতে হবে। ১২টার দিকে দরজা খুলে বাইরে বেরোলেই উল্লিখিত কোয়ার্টার মাস্টার সবাইকে ট্রাকে উঠতে নির্দেশ দেয়। তিনটি ট্রাকে বেঙ্গল রেজিমেন্টের লোকসহ প্রায় ১৫০ জনকে উঠায়। ট্রাক রংপুরের রাস্তা ধরে আস্তে আস্তে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে পাহারারত সামরিক লোকেরা বেল্ট দিয়ে, রাইফেলের বাঁট দিয়ে অথবা বুট দিয়ে খুঁচিয়ে অত্যাচার চালাতে থাকে। শেষাবধি রংপুর ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছার পরই সবার ওপর অকথ্য অত্যাচার চলে। তারপর অফিসার এসে নামের তালিকা বের করে সবার নাম মিলিয়ে নেয়। এরপরই রংপুর উপশহরের দিকে অফিসাররা জিপে যাত্রা করে এবং পেছনে পেছনে ট্রাকগুলোও যেতে থাকে। উপশহরের পাশে বালি তোলা খাদের কাছে নিয়ে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করায় এবং সেখানে প্রথমে বেঙ্গল রেজিমেন্টের লোকদের ছয়জন করে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। তারপর সিভিলিয়ানদের এক একজন করে পাশাপাশি একবারে ছয়জন করে দাঁড় করায়। তাদের সামনে খুব নিকটে ছয় বন্দুকধারী সিপাই থাকে এবং
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ ৪৩
শহীদ ডা. আ. আ. শামসুল হক
পাশে জোড়া লাগানো কালো প্যান্ট-শার্ট পরিহিত একজন সিপাই।
দাঁড় করিয়ে দেয়া হলে ঐ কালো কাপড় পরিহিত লোক ‘সিঙ্গল ফায়ার’ বলে রাইফেল উপরে তুলে গুলি করার সাথে বলত ‘স্টার্ট ফায়ার’। সাথে সাথে উল্লিখিত ছয়জনের প্রতি গুলি করত। ঐ ছয়জনকে গুলি করা হলে তাদের লাশের পাশে আর ছয়জনকে দাঁড় করানো হতো।
আমি ও আমার ছোট ভাই কমলা প্রসাদ ঐরূপ তৃতীয় গ্রুপে ছিলাম। আমরা নিজেদের মধ্যে কিছু শলাপরামর্শ করে গুলি করার পূর্ব মুহূর্তেই ইচ্ছাকৃতভাবে পড়ে যাই। ফলে গুলি লক্ষ্যভেদ হয়ে আমার হিপে (উরুর উপরে) এবং আমার ছোট ভাইয়ের হাঁটুর উপরে লাগে। আমরা মরার ভান করে পড়ে থাকি এবং সমস্ত লক্ষ্য করতে থাকি।
এ হত্যাযজ্ঞের মাঝামাঝি সময়ে ডা. জিকরুল হককে একাই দাঁড় করায় এবং জিগ্যেস করে যে, ‘এ্যাই তোমহারা জিন্দেগি আওর মাউত কা স্যোয়াল হ্যায়। হাম জানতা হ্যায় তোমসে মুজিবরসে ফোন মে বাত হোয়া?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘আমি মরার সময় মিথ্যা কথা বলে গোনাহগার হবো না।’ আর এ কথা বলার সাথে সাথে তাকে গুলি করে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পড়ে যান এবং বলেন, ‘আল্লাহ তোমার এখানে বিচার নেই, বিচার করা।’ এটাই তার শেষ কথা। শেষের দিকে স্থানীয় প্রভাবশালী ডা. আ. আ. শামসুল হককেও দাঁড় কড়িয়ে হত্যা করে।
হত্যা পর্বশেষ হলে সব মৃত ব্যক্তিকে ৫-৭ জনে পা ধরে টেনে উল্লিখিত খাদে ফেলে দেয় এবং আর ১০-১২ জনে ওপর থেকে মাটি চাপা দিচ্ছিল। মাটি চাপা দিতে দিতে ভীষণ বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে তারা আমার শরীরের অর্ধাংশ মাটি চাপা দিয়েই পরবর্তী সময়ে মাটি চাপা দেয়া হবে বলে চলে যায়।
*(হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্র থেকে সঙ্কলিত)
প্রাসঙ্গিক উল্লেখযোগ্য তথ্যসূত্রঃ
ক. মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক তালিকা; বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যালয় বিএমএ ভবনে (তোপখানা রোড, ঢাকা) শোভিত স্মৃতিফলকে উৎকীর্ণ। (পরিশিষ্ট দ্রষ্টব্য)
খ. *বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্র; সম্পাদনাঃ হাসান হাফিজুর রহমান; প্রকাশনাঃ তথ্য মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারী; প্রকাশকালঃ আষাঢ় ১৩৯১/জুন ১৯৮৪; ৮ম খণ্ড; পৃ. ১৬৭ ।
গ. দৈনিক সংবাদ বিশেষ সংগ্রাহক সংখ্যা-৩ যেসব হত্যার বিচার হয়নি; পরিকল্পনায়ঃ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। প্রকাশকালঃ সোমবার ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮; পৃ. ৩১ ৷
ঘ. সেই রাজাকার, প্রকাশনাঃ মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ, জনকণ্ঠ প্রকাশনী, প্রকাশকালঃ জুলাই ২০০১; পৃ. ২৪৪ ৷
জ. রংপুর জেলার ইতিহাসঃ প্রকাশনাঃ জেলা প্রশাসন, রংপুর; প্রকাশকালঃ ৩০ জুন ২০০০; পৃ. ২৩৫-২৩৬ ।
৪৪ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ
Reference: মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ – বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ