শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ সভার কার্যবিবরনী ও সিদ্ধান্ত | বাংলাদেশ সরকার, কেবিনেট ডিভিশন | ১৭, ১৮ জুলাই, ১৯৭১ |
মন্ত্রিপরিষদ সভার কার্যবিবরণী ও সিদ্ধান্ত
১৭.০৭.১৯৭১ বিকাল ৫:৩০ ঘটিকা
মন্ত্রিসভার সকল সদস্য ও কমান্ডার ইন চিফ (সিইনসি) সভায় উপস্থিত ছিলেন ।
সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, এখন থেকে প্রতি সোম ও শুক্রবারে মন্ত্রীসভার বৈঠক নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবারের বৈঠকে মূলত প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
১০জুলাই থেকে ১৫জুলাই পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডারদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক সভার সূত্রের ভিত্তিতে কমান্ডার ইন চিফ যে প্রতিবেদনে উপস্থাপন করেন, সেটার উপর মন্ত্রীসভা সুচিন্তিত মতামত প্রদান করেন।
সরকারের প্রচারণা সংক্রান্ত বিষয়গুলি বিশেযভাবে আলোচিত হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, বেতার, সংবাদপত্র, সরকারি বিলিপত্র, চলচিত্রের মত সচিত্র প্রচারনা এবং লেখালেখির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
আঞ্চলিক প্রশাসনিক কাঠামোকে পর্যালোচনা করা হয় এবং সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ৫টি জোনের পরিবর্তে ৮টি জোনে প্রশাসনিক কাঠামোকে পুনর্বিন্যাস করা হবে এবং পূর্বাঞ্চলীয় জোনকে নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী ভাগ করার সুযোগ দেওয়া হবে ।
আরো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, গণপরিবহনের জন্য সরকার যদি ব্যক্তি মালিকানাধীন যানবাহন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়, তবে ঐসকল যানবাহনের মালিকদেরকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
ট্রেড এন্ড কমার্স প্রমোশন বোর্ড স্থাপনের প্রকল্প সভায় অনুমোদিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
অনুলিপিঃ রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীগণের সকল ব্যক্তিগত সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রীপরিষদ সভার কার্যবিবরণী ও সিদ্ধান্ত
১৮.০৭.১৯৭১
নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হলঃ
১/ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক বিষয়াদি দেখাশুনার বিশেষ দায়িত্ব পালনের জন্য অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ওয়াশিংটন সদরদপ্তরে জনাব এম. আর. সিদ্দিকী, এম. এন. এ. কে দূত হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব
অনুলিপিঃ
রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীদের সকল ব্যক্তিগত সচিব।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান
জনাব এম. আর. সিদ্দিকী, এম. এন. এ.
মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
—————————