চুনারুঘাট বধ্যভূমি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানায় রয়েছে পাকবাহিনীর বধ্যভূমি। একাত্তরের এপ্রিলে পাকবাহিনী এদেশীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় চুনারুঘাটে তাঁদের ক্যাম্প স্থাপন করে এবং শুরু করে হত্যাযজ্ঞ। তারা অশোক কুমার রায়, যোগেন্দ্র কুমার সরকার ও মহেন্দ্র চন্দ্র সরকারকে চুনারুঘাটের খোয়াই নদীর তীরে গুলি করে হত্যা করে। এভাবে পাকবাহিনীর ও তাঁদের দোসররা সাত মাস ধরে বিভিন্ন এলাকায় হত্যাকাণ্ড ও নারী নির্যাতন চালায়। এসময় পাকবাহিনীর হাতে যারা শহীদ হন-চুনারুঘাট থানা গোছাপাড়া গ্রামের যোগেন্দ্র পাল, সুরেন্দ্র পাল, যোগেস শুক্ল বৈদ্য ও তার ছোট ভাই, চান্দপুর চা বাগানের শ্রমিক নিবারং উরাং, কার্তিক ইয়ামুদসহ আরও তিনজন শ্রমিক। এছাড়া পাকবাহিনী চুনারুঘাটের হাতুণ্ডা গ্রামের যামিনী মোহন দে’র বাড়িকে পরিণত করে একটি পতিতালয়ে এবং সেখানে তার স্ত্রীকে বর্বর পাক পশুরা প্রতিদিন পালাক্রমে ধর্ষণ করত। পাক সেনারা বড়াইন গ্রামের জগদীশ চন্দ্র শর্মার মেয়ের ওপর একইভাবে নির্যাতন করে। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্যসূত্র: সিলেটে গণহত্যা – তাজুল মোহাম্মদ, পৃ.-১৮৯-১৯০; একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-১২৬)