ছাতক বধ্যভূমি
একাত্তরের ২৮ এপ্রিল পাকবাহিনী সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় প্রবেশ করে। শুরু হয় হত্যাকাণ্ড, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ। ঐদিন পাকবাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছিলেন, তারা হলেন-সিলেট কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র দিলীপ কুমার তরাত ও জ্যোতির্ময় দত্ত নানু,ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরির কেরানি কলিম উদ্দিন, ছাতকের ব্যবসায়ী যোগেন্দ্র দত্ত ও রুনু দাস, জিতেন্দ্র দাস প্রমুখ। এছাড়া ২৬ মে ছাতকের বেতুরা গ্রামের পাশ দিয়ে সীমান্তে মুক্তিযুদ্ধে গমনরত ১৮ জন যুবককে বেতুরার ফকির চেয়ারম্যান পাক হায়েনাদের হাতে তুলে দেয়। হায়েনারা এর মধ্যে ১৭ জনকে গুলি করে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। এছাড়া ছাতক উপজেলার ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন, তারা হলেন- ফিরোজ মিয়া, পীযূষ কান্তি সরকার, ময়না মিয়া, মোহাম্মদ মোস্তফা, খলকু মিয়া-১, খলকু মিয়া-২, হোসেন আলী, মনাই মিয়া, আঞ্জব আলী, আলী আহমদ ও হুসিয়ার আলী। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্যসূত্র: সিলেটে গণহত্যা – তাজুল মোহাম্মদ, পৃ.-১০১-১০৩; একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-১২৫)