খরিসের পুল বধ্যভূমি
সিলেট শহর থেকে ১২ মাইল দূরে তামাবিল সড়কে খান চা বাগান। এই বাগানটি বর্তমানে জৈন্তাপুর উপজেলার অন্তর্গত। একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পাকবাহিনীর আসার খবর পেয়ে বাগানের শ্রমিকরা জীবন বাঁচাতে পালাতে শুরু করে। নিরীহ শ্রমিকরা তামাবিল সড়ক ধরে তিন মাইল পথ অতিক্রম করে যখন খরিসের পুলের কাছে পৌছে তখন পাকবাহিনী তাঁদের পথ রোধ করে। তাঁদের তারা বাগানে ফিরে যেতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে পাকসেনারা তাঁদের মধ্য থেকে ১৭ জন যুবককে রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়। আটককৃত এই ১৭ জন যুবক শ্রমিককে দিয়ে পাকবাহিনী খরিসের পুলের কাছে একটি গর্ত খোড়ায়। সেখানে ওদের লুকিয়ে থাকার নির্দেশ দেয় সেনারা। পাক হায়েনাদের নির্দেশ মতো অসহায় এই ১৭ জন যুবক শ্রমিক সেই গর্তের ভেতরে জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকে। এই সময় গর্জে ওঠে পাকসেনাদের রাইফেল। এই শহীদদের কয়েকজনের নাম হলো- বংশী মাঝি, নন্দলাল বাড়াই, অগ্ল কুরুয়া। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্যসূত্র: সিলেটে গণহত্যা – তাজুল মোহাম্মদ, পৃ.-৮৮-৮৯)