সালুটিকর বধ্যভূমি
মুক্তিযুদ্ধকালীন সিলেটের সালুটিকর বিমানবন্দরের নিকটবর্তী মডেল স্কুলটিকে হানাদার বাহিনী ও তাঁদের দোসররা বধ্যভূমি ও নির্যাতন কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করে। যুদ্ধের ৯ মাসই এখানে চলে তাঁদের নৃশংসতা। পাকিস্তানিরা নারী, পুরুষ, শিশুকন্যার উপর অমানুষিক অত্যাচার চালানোর পর মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে হত্যা করতো তাঁদের। হত্যার পর এসব লাশ মাটি চাপা অথবা পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে ফেলে দিত। স্বাধীনতার পরপরই মডেল স্কুল ও তার আশপাশ বনজঙ্গলে অসংখ্য কঙ্কাল পাওয়া যায়। মডেল স্কুলের বিভিন্ন কক্ষে অসংখ্য অজ্ঞাত নারী-পুরুষের লাশ পাওয়া যায়। এখানে হানাদার সেনারা বিভিন্ন অঞ্চলের নারীদের ধরে এনে পাশবিক নির্যাতন চালাতো। আত্মসমর্পন করার আগে এসব নারীদের অনেককে তারা হত্যা করে। বিমানবন্দর সংলগ্ন এই স্কুলটির পাশে জনবসতি ছিলো না। নির্জন এই এলাকায় মানুষদের ধরে এনে চোখ ও হাত বেঁধে নির্যাতন চালানো হতো। এখানে পাকিস্তানি বাহিনী যাঁদেরকে ধরে আনে তাঁদের প্রায় সকলেই হত্যা করে। স্থানীয় লোকজনের ধারণা একাত্তরের নয় মাসে পাকবাহিনী এখানে তিন শতাধিক মানুষ হত্যা করে।