You dont have javascript enabled! Please enable it! কলারোয়ার উপজেলার কয়েকটি বধ্যভূমি ও গণকবর - সংগ্রামের নোটবুক

কলারোয়ার উপজেলার কয়েকটি বধ্যভূমি ও গণকবর

কলারোয়ার বালিয়াডাঙা বাজারের গণকবরে হাফিজ, জাকারিয়া, ইমাদুলসহ ৭ জন শহীদ চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন। ভাদিয়ালি গ্রামের সীমান্ত নদী সোনাই এর তীরে সমাহিত করা হয় ইউসাসহ ৪ শহীদকে। সোনাবাড়িয়া গণকবরে শায়িত শহীদদের পরিচয় অনেকেই জানেন  না।

বামনখালি ঘোষ পাড়ার গণকবরে রাজেন্দ্র ঘোষ, খগেন্দ্র ঘোষসহ ৩ শহীদকে মাটি চাপা  দেওয়া হ। এই কবরটির তেমন কেউ খোঁজ রাখে না। সোনাবাড়িয়া মঠমন্দির সংলগ্ন গণকবরে হাজরা গাঙ্গুলিসহ ৩ জনকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।

কলারোয়া পাঁচনল গ্রামের মতিয়ার ও রশিদকে পাক বাহিনী বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শার্শার জামতলায় ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। জামতলা গণকবরে তাঁদের সমাহিত করা হয়। বটগাছসহ বিভিন্ন গাছপালায় ঢাকা এই গণকবরটি।

গয়ড়া বাজারের শহীদ মিনারে পিছনের চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন শহীদ নূর মোহাম্মদ ও এলাহী বক্স। এই ২ মুক্তিযোদ্ধার কবরটি স্থানীয় উদ্যোগে মোটামুটি সংরক্ষণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, একাত্তরের ১৭ মে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে গোপালগঞ্জ থেকে আসা ৫ মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকাররা আটক করে কলারোয়া থানার পিছনে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি ও বেয়োনেট দিয়ে হত্যা করে। এ বধ্যভূমিতেই মাটির গর্তে তাঁদের পুঁতে ফেলে রাজাকাররা। ২০১০ সালের ১ মার্চ এই গণকবরটিতে চিরনিদ্রায় শায়িতদের পরিচয় পাওয়া যায়। এঁরা হলেন, শহীদ সাহেব আলি, শহীদ মুন্সি মহসীন, শহীদ সুভাষ চন্দ্র, শহীদ শিশির চন্দ্র ও শহীদ মনোরঞ্জন। এঁরা সকলেই গোপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী। এ গণহত্যায় ঘটনায় ওই বছর কলারোয়া থানায় যুদ্ধাপরাধের মামলা (নং-০২, তাং ০১/০৩/১০ ইং) হয়।

এছাড়াও, কলারোয়া উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সমাধি। কলারোয়ার কপোতাক্ষ তীরবর্তী খোরদোপাকুড়িয়া গ্রামে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেনের কবর রয়েছে।