কালীগঞ্জ উপজেলায় চৌদ্দপোতা গণকবর/চৌদ্দপোতা বধ্যভূমি
সাতক্ষীরার ভাড়াশিমলা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান কালীগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল খালেক (৫১), তার চাচা আকিমুদ্দী মোড়ল (৭৬) ও চাচী আনোয়ারা বেগম (৬৫) জানান, পাক হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি ঘাঁটি গাড়ে বর্তমান নারায়ণ হাসপাতালের উত্তর পাশের আকিমুদ্দী মোড়লের বাড়িতে। সেখানে তারা দুটি বাঙ্কার খুঁড়ে। স্থানীয় রাজাকার, আলবদরদের সহযোগিতায় ধ্বংসলীলায় মেতে ওঠে।
আনোয়ারা বেগম জানান,মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলে বসতভিটায় ফিরে দেখেন মানুষের অসংখ্য হাড়, খুলি পড়ে আছে। সেগুলো তার পরিবারের সদস্যরা কুড়িয়ে নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে পুঁতে রাখে। তার বাড়ির ভিতরে জাম গাছের গোড়ায় একটি বোড় গর্ত করে হানাদার বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সহযোগিতাকারীদের হত্যা করে ঐ গর্তে লাশ ফেলে দেওয়া হতো।
কথিত আছে এখানে একদিন একই সঙ্গে ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করে গর্তে লাশ ফেলে দেয় তারা। আর সে কারণেই এখানকার নামকরণ করা হয়েছে চৌদ্দপোতা।