রাণীনগর গণকবর
১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় তালাইমারিতে বাদুড়তলায় প্রায় ১৬০ জনকে হত্যার পর রাতে বাড়ি বাড়ি ঢুকে হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে পাকসেনারা। তালাইমারির পিছনে রাণীনগর পশু হাসপাতালের পাশে ছিল ইউনিয়ন কাউন্সিলের বোর্ড ঘর। সেখানে সপরিবারে বসবাস করতেন বশীর উদ্দিন শেখের ছেলে জামাল উদ্দিন শেখ। পাকিস্তানি সেনারা বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেই গুলি চালাতে থাকে। ওই পরিবারের ৭/৮ জনকেই হত্যা করে পাক হানাদাররা। বোর্ড ঘরের পাশেই ছিলেন আলমগীর হোসেন। ভয় পেয়ে দৌড়ে পালাতে গেলে তাকে পিছন থেকে গুলি করে তারা। তাকে সহ জামাল উদ্দিন শেখের পরিবারের সবাইকে একই গণকবরে পুঁতে রাখে পাক হানাদার বাহিনী। (তথ্যসূত্র: মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আব্দুল মান্নান)