You dont have javascript enabled! Please enable it! ঘাঘট নদী তীর বধ্যভূমি - সংগ্রামের নোটবুক

ঘাঘট নদী তীর বধ্যভূমি

রংপুর শহরে ছিল পাকবাহিনীর ২৩তম ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার। ২৩ মার্চ পাকসেনা অফিসার অবাঙালি লে. আব্বাসের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রংপুর এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ২৮ মার্চ হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষ তীর-ধনুক-বল্লম-লাঠি-দা-কুড়াল ও বাঁশের লাঠি হাতে রংপুর সেনানিবাস আক্রমণের উদ্দেশ্যে ঘাঘট নদীর তীর ঘেঁষে জমায়েত হতে থাকে। এসময় সেনানিবাস থেকে পাকবাহিনী প্রচণ্ড গুলি বর্ষণ করে। ঘাঘট নদীর পানি হাজারো শহীদের রক্তে লাল হয়ে যায়। এরে এই ঘাঘট নদীর তীর একটি বৃহৎ বধ্যভূমিতে পরিণত হয়। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্যসূত্র: একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-৮৩-৮৫; যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ ডা. এম এ হাসান, পৃ.-৪১৫; মুক্তিযুদ্ধ কোষ, দ্বিতীয় খণ্ড মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত, পৃ.-১০০; দৈনিক বাংলা, ২৬ এপ্রিল ১৯৭২; দৈনিক বাংলা, ১৯ জানুয়ারি ১৯৭২)