নাভারনের গণকবর
শার্শার নাভারনে পাকবাহিনি ও আলবদর বাহিনীর একটি শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল। নাভারন জামে মসজিদের পশ্চিম পাশে উপজেলা ফুড অফিসের পিছনে ছিল তবি খান অফিস। প্রতিদিন সেখানে বসতো রাজাকার আলবদর বাহিনী আর খানসেনাদের মিলনমেলা। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনদের ধরে এনে খানসেনারা ঐ ক্যাম্পে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করত। নাভারন হাইস্কুলের পিছনে, নাভারন কাচারীর পিছনে বেত্রাবতী নদীর তীরে এবং হাসপাতালের পিছনে ওই ক্যাম্পে তাঁদেরকে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হতো। নাভারন কাচারীর পিছনে বর্তমানে মহিলা কলেজ যেখানে স্থাপিত হয়েছে সেখানে ছিল গভীর জঙ্গল। এই জঙ্গলই ছিল আলবদর বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র। এখানে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে জঙ্গলের শেষ প্রান্তে বেত্রাবতী নদীর তীরে শিমুলতলায় তাঁদেরকে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হতো বলে জানান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর মাস্টার। সংরক্ষণের অভাবে এসব গণকবর আজ হারিয়ে গেছে।