You dont have javascript enabled! Please enable it! কাশিপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর - সংগ্রামের নোটবুক

কাশিপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর

যশোর শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম কাশিপুর। ’৭১ এর ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের ঝিকরগাছা গোয়ালহাটি গ্রামে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ সহযোদ্ধাদের নিয়ে ছুটিপুর পাক হানাদার ঘাটিতে আঘাত আনেন। তুমুল সম্মুখ যুদ্ধে একটি এলএমজি দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন নানু মিয়া। পাক সেনাদের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। নানু মিয়ার পাশে নূর মোহাম্মদ। সহযোদ্ধাদের নানু মিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়ে নানুর এমএমজি নিয়ে যুদ্ধ করতে থাকেন নূর। এক পর্যায়ে শত্রু পক্ষের মর্টার সেল এর আঘাতে নূর মোহাম্মদ শেখ মারাত্মকভাবে আহত হলে সবাইকে পিছু হটতে বলেন তিনি। যুদ্ধরত অবস্থায় পাক সেনাদের বুলেটে তার সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। বেয়োনেট দিয়ে তার দু’টি চোখও উপড়ে ফেলে নরপশুরা। মৃত্যুর পর শার্শার কাশিপুরে তার লাশ সমাহিত করেন সহযোদ্ধারা।

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের সঙ্গে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে এখানে। তারা হলেন, শহীদ বাহাদুর গেরিলা, শহীদ এমসিএ সৈয়দ আতর আলী, ’৭১ এর ২৭ জুন কাশিপুরে সম্মুখ সমরে শহীদ সুবেদার মনিরুজ্জামান, ২১ সেপ্টেম্বর পাকফৌজের আক্রমণে শহীদ সিপাহী আব্দুস সাত্তার, ২৭ নভেম্বর মাকাপুরের যুদ্ধে শহীদ সিপাহী এনামুল হক ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আহাদ। আহাদ ১৯৮৮ সালের কাশিপুরে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরন করেন।