বেরি লেকের গণকবর
১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ স্থানীয় জনসাধারণ সান্ধ্য আইন ভেঙে পাকসেনাদের প্রতিরোধ করতে মনু নদীর সেতু দিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে পাক সেনারা গুলি করে লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পাক সেনারা শহরের সৈয়ারপুর এলাকার একটি ইটখোলা শ্রমিকদের ডেরায় ঢুকে নির্বিচারে ব্রাশ ফায়ার করলে ঘটনাস্থলেই সাতজন শহীদ হন। পরে এঁদের মৌলভীবাজার শহরের বেরি লেকের দক্ষিণ পাড়ে গণকবর দেওয়া হয়। মৌলভীবাজার একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও বেরির লেক গণকবর সংরক্ষণের উদ্যোক্তা সৈয়দ মুশাহিদ আহমদ বলেন, ‘শোনা গেছে কানুদা নামে একজন শ্রমিকদের ডেরায় আত্মগোপন করলে পাক আর্মিরা সেখানে ঢুকে ব্রাশ ফায়ার করে। পরে আলী হোসেন নামে একজন ঠিকাদার সার্কটি হাউসে পাক আর্মির সাথে যোগাযোগ করে সৎকারের অনুমোদন নেই লাশগুলো এখানে নিয়ে আসেন। আনার পর দেখা গেছে ছয়জন মুসলমান ও একজন হিন্দু রয়েছেন। স্থানীয় লোকজনের অংশগ্রহনের ছয়জনের জানাজা পড়া হয়। পরে পাশাপাশি সবাইকে মাত্র দেড় হাত মাটির নিচে গণকবরে চাপা দেওয়া হয়েছিল। এতদিন ধরে স্থানটি অবহেলায় পড়ে আছে। এখানে দোকানপাট হয়ে গেছে’।