মেহেরপুর সরকারী কলেজ মাঠ বধ্যভূমি
স্বাধীনতা যুদ্ধকালে গোটা মেহেরপুর শহরই ছিল পাক বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র। স্থানীয় সরকারী কলেজের মাঠ ছিল এখাকার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি। এখানে পাকবাহিনী অধিকাংশ স্বাধীনতাকামীকে ধরে এনে হত্যা করত। কলেজ মাঠের মাঝখানে একটি বিশাল আমবাগানের ডালে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথমে পা বেঁধে টাঙানো হতো। এখানে অমানুষিক নির্যাতন শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের কলেজের একটি বদ্ধ অন্ধকার ঘরে বন্দী করে রেখে এক পর্যায়ে হত্যা করা হতো। স্বাধীনতার পর এই বধ্যভূমিতে মানুষের মাথার খুলি, হাড়গোড়, কাপড়-চোপড়, মাথার চুল ইত্যাদি পাওয়া যায়। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্যসূত্র: একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-১১২-৪৮৭; যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ – ডা. এম এ হাসান, পৃ.-৪০২; মুক্তিযুদ্ধ কোষ, চতুর্থ খণ্ড – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত, পৃ.-১৬২; দৈনিক সংবাদ, ২১ মে ১৯৯৩)