দাতিয়ারা বধ্যভূমি
দেশ শত্রুমুক্ত হবার পর ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ দাতিয়ারা বধ্যভূমির গণকবর খুঁড়ে ১২ জন শহীদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় নাটাই গ্রামের শহীদ আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুস সাত্তার এবং বধ্যভূমি থেকে বেঁচে যাওয়া আবরু খান সহ এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে গণকবরটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এলাকাবাসী নিহতদের লাশও সনাক্ত করেছিলেন। শহীদ আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুস সাত্তার জানান, প্রায় সাত মাসেও লাশগুলো পচে গলে নস্ট হয়ে যায়নি; শুকিয়ে গিয়েছিল। তাঁদের মাথার চুল মুখের দাড়ি এবং গায়ের কাপড় প্রায় অক্ষত ছিল। তাই লাশগুলো সনাক্ত করতে সমস্যা হয়নি তাঁদের। এখান থেকে ১২ জনের লাশ উঠিয়ে নিয়ে নাটাই গ্রামের প্রধান রাস্তার পাশে একটি দিঘীর পাড়ে কবর দেওয়া হয়। গ্রামবাসীর সহায়তা কবরটি পাকা দেয়াল দিয়ে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।
অন্যসূত্রে জানা যায়- ব্রাহ্মণবাড়িয়া দাতিয়ারা বধ্যভূমিতে বহু লোককে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পর স্থানীয়রা জানান, কোন কোন গর্ত থেকে ১৫/২০ জন লোকের কঙ্কাল পাওয়া গেছে। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্যসূত্র: একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-১৩৮-১৩৯; যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ – ডা. এম এ হাসান, পৃ.-১৮৩, ৩৮৮; দৈনিক বাংলা, ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২; মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-জয়দুল হোসেন (প্রকাশক, শিকদার আবুল বাশার গতিধারা ৩৮/২ ক বাংলাবাজার ঢাকা ১১, প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারী ২০১১) পৃ.-১৫৫)।