চিতলমারি বধ্যভূমি
বাগেরহাটের কচুয়া-মোল্লারহাট থানার কেন্দ্রস্থলে মধুমতি নদীর তীরে চিতলমারির অবস্থান। যুদ্ধচলাকালীন চিতলমারি কচুয়া থানার অন্তর্গত ছিল, বর্তমানে এটি পৃথক থানা। যুদ্ধ শুরুর প্রথম থেকেই এটি একটি মুক্তাঞ্চল ছিল। এখানে মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প ছিল। রাজাকারদের সহযোগিতায় একাত্তরের মে-তে পাকবাহিনী এখানে হামলা চালায়। পাকসেনারা চিতলমারি বাজার আগুনে ভস্মীভূত করে। তারা ২৫/৩০ জন লোককে হত্যা করে। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্যসূত্র: বাগেরহাটের ইতিহাস, দ্বিতীয় খন্ড-ড. শেখ গাউস মিয়া, পৃ.-২৬৭-২৬৮; একাত্তরের বাগেরহাট – স্বরোচিষ সরকার, পৃ.-২৬১-২৬২)।
তবে, ২০ জুন বাগেরহাটের পাকবাহিনী খুলনা, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জের পাকবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে অঞ্চলটি একযোগে আক্রমণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। দুপুরের আগেই সবগুলো বাহিনী চিতলমারী ও দশমহল অঞ্চলে পৌছে যায় এবং কোথাও তাঁদের কোন ধরণের প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয়নি। বাজার আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে অথবা ২৫-৩০ জন লোককে হত্যা করা হয়েছে তা স্বরোচিষ সরকারের একাত্তরে বাগেরহাট গ্রন্থে উল্লেখ নেই।