কান্দাপাড়া বাজার বধ্যভূমি
বাগেরহাটের কচুয়ায় কান্দাপাড়া গ্রাম। এটি বাগেরহাট শহর থেকে ৮/৯ কিলমিটার উত্তরে বাগেরহাট-চিতলমারির রাস্তায়। এলাকাটি মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। কান্দাপাড়ায় একাত্তরের ১৮ জুন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। বাগেরহাটের পাকসেনাদের একটি দল ও রাজাকারেরা একসঙ্গে কান্দাপাড়ায় হামলা চালায়। পাকসেয়ান্দের আসার খবর পেয়ে মুক্তিবাহিনী অন্যত্র চলে যায়। হানাদাররা গুলি চালাতে চালাতে গ্রামে প্রবেশ করে। এসময় অনেককে ধরে কান্দাপাড়া বাজারে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে তারা। আনুমানিক ১৯ জনকে হত্যা করে সেদিন। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্যসূত্র: বাগেরহাটের ইতিহাস, দ্বিতীয় খন্ড-ড. শেখ গাউস মিয়া, পৃ.-২৭৩-২৭; একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-৪৪৪; যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ – ডা. এম এ হাসান, পৃ.-৩৯৫; মুক্তিযুদ্ধে কচুয়া, সম্পাদনা পরিষদ, (ঢাকা ১৯৯৯), পৃ.-৭৩-৮০; দৈনিক সংবাদ, ১৩ ডিসেম্বর ১৯৯৩)
অন্যসূত্রে জানা যায়, বাগেরহাটের উত্তর অংশে বেশরগাতি গ্রামের হাবিবুর রহমান হবি মুক্তিযোদ্ধাদের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিলেন এবং পার্শ্ববর্তি চিতলমারী উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম তার নিয়ন্ত্রণে ছিল। রাজাকার বাহিনী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে একদল বাগেরহাট শহরের মুণিগঞ্জ খেয়াপার হয়ে বাগেরহাট-চিতলমারী সড়ক পথে অগ্রসর হতে থাকে এবং অন্য দলটি ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর থেকে কুচিবগা খালের পথে কান্দাপাড়া গ্রামে অগ্রসর হতে থাকে। এখানে আসা রাজাকার বাহিনীর দুটি দল ১৮ জুন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশরগাতি গ্রাম থেকে ২৫ জনকে বেঁধে জড়ো করে। কান্দাপাড়া বাজারে এঁদের গুলি ও জবাই করে হত্যা করা হয়। (তথ্যসূত্র: একাত্তরের বাগেরহাট, স্বরোচিষ সরকারের, পৃ.-২৫৯-২৬১)