বিষখালী নদীর তীরের বধ্যভূমি
২৬ এপ্রিল তৎকালীন বরগুনা মহাকুমা সদর পাক বাহিনী দখলে নেয়। মুক্তিযোদ্ধারা বরগুনা ছেড়ে লোকালয়ে যাওয়ায় মুসলিমলীগ, জামায়াত ও অন্যান্য পাকিস্তানপন্থিরা বরগুনা শহর আধিপত্য পায়। সাবেক মুসলিমলীগ নেতা এম এন এ আবদুল আজিজ মাস্টার ও পাথরঘাটার তাহের উদ্দিন হাওলাদার পটুয়াখালী গিয়ে পাক বাহিনীদের বরগুনায় নিয়ে আসে। তখন বরগুনা শহর ছিল প্রায় জন মানবহীন। এসডিওর জেটিতে পাকবাহিনী অবস্থান নিয়ে আদালত ভবন (কোর্ট বিল্ডিং) এলাকায় কিছু লোক জড়ো করে ভাষণ দেয়। পরদিন ১৫ মে পাথরঘাটা থানার বেশ কয়েকজনকে ধরে এনে বিষখালী নদীর তীরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেন, পটুয়াখালী জেলা সামরিক আইন প্রশাসক মেজর নাদের পারভেজ।
বরগুনা সদর ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পনুকে পটুয়াখালী নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মাজেদ ও মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরকে খাকদোন নদীর তীরে তৎকালীন এসডিওর ঘাটে গুলি করে হত্যা করা হয়। বরগুনার পুরাতন খেয়াঘাটে কাকচিড়ার মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান কনককে হত্যা করা হয়েছে।