সাধুর আশ্রম বধ্যভূমি
কেউ বলে গাঙ্গুলী বাগান বললেও বগুড়া সদরের সেউজগাড়ী এলাকায় জায়গাটি এখন সাধুর আশ্রম নামেই পরিচিত। ১৯৭১ সালে ঐ সাধুর আশ্রমে পাক সেনারা ৩ সাধুকে হত্যা করে। এঁরা হলেন, সুন্দর সাধু, মঙ্গল সাধু ও মুনেন্দ্রনাথ সরকার।
সদ্য প্রয়াত বগুড়ার প্রবীণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রহিম চৌধুরী এক অনুষ্ঠানে বগুড়ার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সেউজগাড়ীর সেই সাধুর আশ্রম সম্পর্কে বলেন, “ঐ সাধুর আশ্রমে মহাত্মা গান্ধী এসেছিলেন। এছাড়াও বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলামও এসেছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন সন্তোষ জানান, সেউজগাড়ী সাধুর আশ্রমের পাশে একটি কূপ ছিলো। সেখানে পাক সেনারা মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের ধরে নিয়ে এসে গুলি অথবা জবাই করে হত্যা করে।
১৯৭১ সালে পাক বাহিনী বগুড়া দখল করার পর সাধুরা আশ্রম ছাড়েনি। সাধুদের ধারণা ছিল ধর্মীয় স্থানে অন্তত কেউ কোন হত্যাযজ্ঞ চালাবে না। কিন্তু হঠাৎ সেউজগাড়ী সাধুর আশ্রমে পাক বাহিনী অভিযান চালায়। তখন সাধুরা খাচ্ছিলেন। আশ্রমে তখন অবস্থান করছিলেন ৪জন সাধু ও ৩ জন সাধু মাতা। পাক সেনারা ৩ সাধুকে ধরে নিয়ে সরকারি আযিযুল হক কলেজের পাশের রাস্তা অর্থাৎ বগুড়া রেলস্টেশনের পশ্চিম দিকে গুলি করে হত্যা করে। পরে তাঁদের রাস্তার পাশে মাটির মধ্যে পুঁতে রাখে। এখনও এখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়নি।