You dont have javascript enabled! Please enable it! সিংড়াবুনিয়া গ্রামে বধ্যভূমি - সংগ্রামের নোটবুক

সিংড়াবুনিয়া গ্রামে বধ্যভূমি

ঝোপ-জঙ্গলে ঘেরা বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের সিংড়াবুনিয়া গ্রামে সাত শহীদদের গণকবর। দেখলে বোঝার উপায় নেই এখানে ঘুমিয়ে আছে একাত্তরে নির্মম হত্যার শিকার হওয়া সাত শহীদ। বধ্যভূমি হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও পরিষ্কার হয়নি ঝোপ-জঙ্গল আর ময়লা আবর্জনা।

একাত্তরের ১০ অক্টোবর বরগুনাবাসীর জন্য শোকার্ত দিন। এই দিনে স্ত্রী, সহোদর ভাইবোন এবং আদরের শিশু সন্তানদের চোখের চোখের সামনে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাত সহযোগীকে। এদিন হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে বালেশ্বর নদী হয়ে হরেরখালের ভিতর দিয়ে গানবোটে চলে আসে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সিংড়াবুনিয়া গ্রামে। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার অভিযোগে নিরীহ গ্রামবাসী গণহত্যার শিকার হন। ঐ এলাকার তৎকালীন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের নির্দেশে নারী ও শিশুসহ নিরীহ গ্রামবাসীর উপর নিষ্ঠুর নির্যাতন চালায় তারা। একাত্তরের সেই দুপুরে ক্ষিরোধ চন্দ্র ব্যাপারী (৩৩) ও তার শ্বশুর লক্ষ্মী কান্ত গয়ালী (৫৫), অশ্বিনী কুমার বালা (৬০), মনোরঞ্জন ব্যাপারী (৪৫) এবং অনন্ত কুমার হাওলাদারকে (১৫) এক সারিতে দাঁড় করিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশগুলো বুনো ঝোপের আড়ালে একই গর্তে পুঁতে রাখা হয়। এখানে নিহত শহীদের সন্তান জীবন ব্যাপারী গণকবরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি করেন।