ফেনী কলেজ বধ্যভূমি
ফেনী কলেজের মাঠ ছিল পাকিস্তানিদের নির্যাতন কেন্দ্র। বিভিন্ন স্থান থেকে স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের ফেনী কলেজে ধরে এনে চালানো হতো অমানুষিক নির্যাতন। এরপর হতভাগ্যদের হত্যা করে কলেজ মাঠে মাটিচাপা দেওয়া হতো। ৬ ডিসেম্বর ফেনী পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত হলে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে কলেজ মাঠে তাঁদের আত্মীয়-স্বজনের খোঁজে। ফেনী কলেজ মাঠ খুঁড়লে বেরিয়ে আসে অসংখ্য মানুষের হাড়গোড়, খুলি। এই গণকবরে সদ্য নিহত কিছু মানুষের লাশও পাওয়া যায়। এই কলেজ মাঠে কতজন বাঙালিকে হত্যা করে গণকবরে ঠাই দেওয়া হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা জানা না থাকলেও এলাকাবাসীর দাবী শত শত মানুষকে এখানে হত্যা করা হয়েছে। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্যসূত্র: একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-১৪৪; যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ- ডা. এম এ হাসান, পৃ.-৩৯০; মুক্তিযুদ্ধ কোষ, দ্বিতীয় খণ্ড- মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত, পৃ.-৩৭৮-৩৭৯; মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস- আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সম্পাদিত, পৃ.-৯৪; দৈনিক পূর্বদেশ, ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২)