ইটবাড়ীয়া গ্রামের পূর্ব প্রান্তের গণহত্যা
প্টুয়াখালী শহর থেকে সাত কিলোমিটার পশ্চিমে ইটবাড়ীয়া ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রাম। সেখানে কথা হয় ওই এলাকার আব্দুর রশিদ গাজীর সাথে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ৫০। আলাপ কালে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, যুদ্ধচলাকালীন পাক বাহিনীর বড় একটি স্পীড বোট কচাবুনিয়া ঘাটে ভেড়ে (নোঙ্গর) করে। উপরে উঠে এসেই গুলি করতে করতে তাঁদের বাড়িতে প্রবেশ করে। তিনি অশ্রুসজল চোখে বলেন, শহরের বেপারী বাড়ীর সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.আশ্রাফ। আমার ছোট বোনের জামাতা।যখন পাক সেনারা আমাদের বাড়ীর দিকে আসে তখন আমরা দুজন মসজিদের মধ্যে দাঁড়িয়ে। আমি আশ্রাফকে বললাম, তুমি আমার কাছে দাড়াও কিছুই হবে না। ওর হাতে একটা কুরআন শরীফ। পাক বাহিনীরা এসেই আশ্রাফের হাত থেকে পবিত্র ধর্মগ্রন্থটা আমার কাছে দিয়ে মসজিদের সামনে দাঁড় করিয়ে পিছন থেকে গুলি করে ওরা। আশ্রাফ তখন ৭/৮ হাত উচুতে লাফিয়ে উঠে। তারা চলে যাবার পরে আমি যখন কোলে তুলি তখন প্রায় শেষ। বললো ভাইয়া আমার ছেলে-মেয়েদের দেখে রাখবেন। সেদিন পাক বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন ইটবাড়ীয়া পূর্ব গ্রাম এলাকার সেকান্দার কাজী, গনি হাওলাদার, বেল্লাত খাঁ, মেনাজ ফকির, হাফেজ মাতুব্বর, নুরুজ্জামান গাজী, ধলু হাওলাদারসহ ২৭.২৮ জন।