You dont have javascript enabled! Please enable it!

কালাপোল সেতু বধ্যভূমি

মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানিদের গতিরোধ করার জন্য ২০ এপ্রিল কালাপোল সেতুটি ভেঙে দেয়। কিন্তু তাতে হানাদারদের ঠেকানো যায়নি। পরবর্তীতে এই কালাপোল সেতু এবং চৌমুহনীর চৌরাস্তায় অবস্থিত পলিটেকনিক্যাল হাইস্কুলটি নোয়াখালির সর্ববৃহত জল্লাদখানা বা কসাইখানায় পরিণত হয়। পাকিস্তানিরা স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের ধরে এনে পলিটেকনিক্যাল হাইস্কুলে আটকে রেখে নির্যাতন চালাতো, তারপর হাইস্কুলের মাত্র পঞ্চাশ গজ উত্তরে কালাপোল সেতুর ওপর দাঁড় করিয়ে গুলি করে আবার কখনো বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে নিচের খালে ফেলে দিত। এখানে মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজার হবে বলে জানা যায়। কালাপোলের নিচ দিয়ে বয়ে চলা খালের দু’পাশে রয়েছে অসংখ্য গণকবর। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্য সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ, দ্বিতীয় খণ্ড মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত, পৃ.-৩৫; যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ- ডাঃ এম এ হাসান, পৃ.-৩৮৮-৩৮৯; একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-১৪২, ১৩৮; মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালী-জোবাইদা নাসরীন, পৃ.-১২০-১২১)

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!