শহীদ সাগর বধ্যভূমি
নাটোরের লালপুর উপজেলায় অবস্থিত গোপালপুর নর্থবেঙ্গল সুগার মিল চত্বরে ‘শহীদ সাগর’ নামের যে পুকুরটি রয়েছে স্বাধীনতার আগে সে পুকুরটির নাম ছিল ‘গোপাল সাগর’। ১৯৭১ সালের ৫ মে এই পুকুর পাড়ে সংঘটিত হয় এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড। উত্তরবঙ্গ চিনিকলের ম্যানেজার আনোয়ারুল আজিমসহ চিনিকলের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এই পুকুরের পাড়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে পাক সেনাবাহিনী গুলি চালায়। এই ঘটনায় আনোয়ারুল আজিমসহ চিনিকলের ৪৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী শহীদ হন। পুকুরপাড়েই শহীদদের লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল।
পাকসেনারা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আরো বহু মানুষকে এই পুকুরপাড়ে গুলি করে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পুকুরটি ছিল বধ্যভূমি। স্বাধীনতার পর এই পুকুরে ও পাড় থেকে অসংখ্য শহীদের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। পুকুরটির নাম ‘গোপাল সাগর’ – এর বদলে হয়ে যায় ‘শহীদ সাগর’। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্য সূত্র: একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-৬১; মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস, তৃতীয় খণ্ড – আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সম্পাদিত, পৃ.-১৭০)