নওগাঁর অন্যান্য বধ্যভূমি ও গণকবর
নওগাঁ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন-অল-রশিদ জানান, বিভিন্ন উপজেলায় আরও বেশ কয়েকটি বধ্যভুমির সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে – নিয়ামতপুর উপজেলার কারালিপাড়া গ্রামের বধ্যভূমি। এখানে পাক বাহিনী ও তাঁদের দোসররা ৭ জনকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে রাখে।
পোরশা উপজেলার গণপতিপুর মাটিন্দর গ্রামে ৭জনকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে রাখে হানাদার বাহিনী।
সাপাহার উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টে ৩৫০ জনকে হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখা হয়। ঐ স্থানে সম্প্রতি স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে।
ধামইরহাট উপজেলার ফুলফতেপুর গ্রামে ১৭জন এবং ফার্সি পাড়া গ্রামে ৪০০ শতাধিক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে ইজারায় লাশ ফেলা হয়।
একইভাবে পাগলা দেওয়ান গ্রামে শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করে ইজারায় ফেলা হয়।
পাথরকুচি গ্রামে হত্যা করা হয়েছে ১২ জনকে। এঁদেরকে ইজারায় ফেলা হয়েছে।
পত্নীতলা উপজেলার দূর্গাপুর ৫ জনকে এবং মোবারকপুর গ্রামে ৬ জনকে হত্যা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয়।
বদলগাছী উপজেলার সরকারী গার্লস হাই স্কুলে হানাদাররা ৪০০ জনকে হত্যা করে।
মান্দা উপজেলার মনোহরপুরে ১৭ জনকে হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখে,
আত্রাই উপজেলার বান্দাইখারার সিংরায় ৩১ জন এবং আহসানগঞ্জে ২৯ জনকে হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখা হয়।
এছাড়া পুরাতন রেল স্টেশনে ২০০, তারাটিয়া গ্রামে ৯ জন, ভবানীপুর গ্রামে ১২ জনকে হত্যা করে লাশ পুঁতে ফেলা হয়। রাণীনগর উপজেলার বড়বরিয়া গ্রামে ৭ জনকে হত্যা করে লাশ ফেলে দেয় হানাদাররা।
জেলা কমাণ্ডার জানান, ১৯৭১ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাক হানাদার ও তার দোসররা নওগাঁর এসব স্থানে এসব হত্যাযজ্ঞ চালায়।