আতাইকুলা গণকবর
নওগাঁ শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে ছোট যমুনা নদীর কিনার ঘেঁষে গড়ে উঠছে আতাইকুলা গ্রাম। ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল রোববার পাক হানাদার বাহিনী নওগাঁর রানীনগর উপজেলার আতাইকুলা গ্রামে এসে গ্রামটিকে ঘিরে ফেলে। পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শী ভবেশ্বর পাল জানান, সেদিন পাক সেনারা গ্রাম থেকে পুরুষদের একে ধরে এনে যোগেন্দ্রনাথ পালের বাড়ির বিশাল আঙ্গিনায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করায়। এভাবে নিরীহ ৮০ জন গ্রামবাসীকে ধরে আনা হয়।
দুপুরের দিকে পাকসেনারা দু’দফায় এই ৮০ জনকে ব্রাশ ফায়ার করে, তাঁদের রক্তে ভেসে যায় ঐ বাড়ির বিশাল প্রাঙ্গণ। এর মধ্য থেকেই ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ৮০ জনের মধ্যে ২৮ জন। ভবেশ্বর তাদেরই একজন। এঁদের অনেকের শরীরে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঐ ঘটনার পর ২৬ এপ্রিল ভবেশ্বর পাল ও আরো কয়েকজন মিলে যোগেন্দ্র পালের বাড়ির পশ্চিমদিকে একটি গর্ত খুঁড়ে ঐ ৫২ জন শহীদকে গণকবর দেন। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্য সূত্রঃ যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ – ডা. এম এ হাসান, পৃ.-৪০৮; মুক্তিযুদ্ধ কোষ, প্রথম খণ্ড – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত, পৃ.-৮৭-৮৮)