চিরিরবন্দরের জেবি স্কুল বধ্যভূমি ও গণকবর
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির নিদর্শন হিসেবে পরিচিত কামারপাড়া গ্রাম। এটি ইছবপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করতে থাকে গ্রামবাসী। গ্রামের অনেক যুবক মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। এলাকাটি পাকসেনাদের শক্ত ঘাঁটি সৈয়দপুর উপজেলার লাগোয়া। ফলে শত্রুদের দৃষ্টি পড়ে কুমারপাড়া গ্রামে।
১৯৭১ সালের ২৬ অক্টোবর কাক ডাকা ভোরে শত্রু সেনারা গ্রামটিতে আক্রমণ করে। হানাদাররা যাকেই সামনে পেয়েছে তাঁকেই ধরে নিয়ে স্থানীয় জেবি স্কুল মাঠে লাইন করে দাঁড় করায়। এরপর চলে ব্রাশ ফায়ার। হানাদারের গুলিতে শহীদ হন শওকত আলী, রবীন্দ্র কর্মকার, বিনোদ কর্মকার, কামিনী কর্মকার, ধনপতি, নগেন, শাহাদাৎ মিস্ত্রি, রমা নাথ, করুনা কান্ত, ধনঞ্জয় কর্মকারসহ আরো অনেক। এঁদের মধ্যে ৭ জন যাদের অন্য কোন স্থান থেকে ধরে আনা হয়েছিল তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি। হত্যার পর এঁদের সকলকে এক সঙ্গে বেঁধে একটি গর্তে পুঁতে ফেলা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা শাহ মহতাব সরকার আরো জানান, এই গণকবর ও বধ্যভূমিকে চিহ্নিত করে এলাকার মানুষ একটি সাইন বোর্ড দিয়েছিল। সেটিও এখন আর চোখে পড়ে না। চিরিরবন্দর জেবি স্কুল বধ্যভূমি ও গণকবর সংরক্ষণের দাবি করেছেন শহীদ শাহদত মিস্ত্রির নাতি ছফির উদ্দিন ও শহীদ শওকত আলীর কন্যা শাহনাজ ও পুত্র এন্তাজ আলী।