পার্বতীপুর হোম সিগন্যাল বধ্যভূমি গণকবর
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার রেলওয়ে জংশন সংলগ্ন রেলওয়ের জমিতে অবস্থিত হোম সিগন্যাল গণকবর ও বধ্যভুমির কথা প্রকাশ পায় যুদ্ধের অনেক পর। তারপর আরো প্রায় কয়েক যুগ পেরিয়ে গেছে কিন্তু এই গণকবর সংরক্ষণে কেউ কোন উদ্যোগ নেয়নি। রেলওয়ে হোম সিগন্যালের কাছে এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ হওয়ায় এর নাম হয়েছে হোম সিগন্যাল বধ্যভূমি।
পার্বতীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিক হোসেন জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো সময়টা জুড়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এখানে হত্যাযজ্ঞ চালায়। বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ-শিশু ধরে এনে এখানে পাশবিক নির্যাতনসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে তারা। হত্যার পর সেসব লাশ সেখানে মাটিতে পুঁতে রাখে। এখানে কতজন নির্যাতিত ও শহীদ হয়েছে তার সঠিক তথ্য জানা নেই। তবে এর সংখ্যা হাজারের কমে হবে না। এখানে হত্যা করা হয়েছে সঙ্গীত শিল্পী মনুদা, ব্যাংকার সজির উদ্দিন, শিক্ষক ওয়াহিদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার ওবায়েদুল ডাক্তার জব্বারকে। তিনি জানান এখানে বেশকিছু রেলকর্মীকেও হত্যা করার কথা শোনা যায়।
স্বাধীনতার দুই যুগ পর এখানে একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। অরক্ষিত এই বধ্যভূমি ও গণকবর এখন দখলদারদের দখলে চলে যাচ্ছে, গড়ে উঠছে বস্তি। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্য সূত্রঃ একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর-সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-৯২; যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ – ডা. এম এ হাসান, পৃ.-৪১৩-৪১৪; দৈনিক সংবাদ, ২৫ মার্চ ১৯৭২; দৈনিক বাংলা, ২৪ জানুয়ারি ১৯৭২)