বংশাই নদীর তীর বধ্যভূমি
বংশাই নদীর তীরে রয়েছে বধ্যভূমি। একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনী এখানে অসংখ্য বাঙালিকে হত্যা করেছে। টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা বাঙালিদের ধরে আনতো এবং ব্রাশ ফায়ারে ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে বংশাই নদীতে ফেলে দিতো। পাক সেনারা মির্জাপুর থানা থেকে ধরে এনে শতাধিক বাঙালিকে এখানে হত্যা করে। এই বংশাই নদীর তীরের বধ্যভূমি থেকে বেঁচে যাওয়া দুজন প্রত্যক্ষদর্শী হলেন মির্জাপুরের সাধন ভট্টাচার্য ও গান্ধী সাহা। তারা দু’জন এখন বেঁচে নেই। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্যসূত্র: যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ – ডা. এম. এ. হাসান, পৃ.-৩৬৮; মুক্তিযুদ্ধ কোষ, তৃতীয় খণ্ড – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত, পৃ.-৩৮; একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-১০৮; দৈনিক সংবাদ, ১১ এপ্রিল ১৯৯৪)