রেলওয়ে স্টেশন বধ্যভূমি
চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রয়েছে বধ্যভূমি। এখানে একটি কসাইখানাও ছিল। রেল স্টেশনের অফিসগুলো ও রেস্ট হাউজেও পাকিস্তানি ও তাঁদের দোসরদের ক্যাম্প ছিল। পাকসেনারা স্টেশনের ওয়েটিং রুকমে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে। অসংখ্য বাঙালির লাশ এ বধ্যভূমিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। রেলের ডোম ছনুয়া ও গয়াকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে এসব লাশ সরাতে বাধ্য করা হতো।
মুক্তিযুদ্ধে এই বধ্যভূমির অগণন শহীদ স্মরণে বড় স্টেশন এলাকায় মেঘনা নদী তীরে নির্মিত হচ্ছে ‘রক্তধারা’ স্মৃতিস্তম্ভ। ২০১৩ সালের ২৬ মার্চ এই স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। এ বধ্যভূমির কথা অন্যান্য গ্রন্থেও উল্লেখ আছে। (মুক্তিযুদ্ধ সংগৃহীত তথ্য সূত্র: একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-৭৭; যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ – ডা. এম এ হাসান, পৃ.-৩৮৬; মুক্তিযুদ্ধ কোষ, দ্বিতীয় খণ্ড – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত, পৃ.-১১৩-১১৪; দৈনিক পূর্বদেশ, ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২)