টঙ্গীর আরিচপুরের গণহত্যা
টঙ্গী পৌরসভার কমিশনার ইসমাইল হোসেন বাবু ও বিসিকের শহীদ স্মৃতি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম জানান, ১৭ এপ্রিল টিআইসি (বর্তমান টেলিফোন শিল্প সংস্থা টেশিস) থেকে পাকিস্তানি সেনারা আরিচপুরে এসে ঘরে ঘরে ঢুকে প্রায় ৩০ জন গ্রামবাসীকে ধরে ধরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে নিয়ত আলি, মো. হাবিব, তালেব আলী, মো. মান্নানের নাম জানা গেছে। পরে তাঁদের বিসিক কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়।
এছাড়া, ১৯৭১ এর ২৭ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী টেশিস’র কর্মকর্তা বদিউল আলম, বিপিআই’র মোশারফ হোসেনসহ বেশ কয়েকজনকে গুলি করে। ২৮ মার্চ তারা টেশিস-এ ঢাকা উত্তর জোনের প্রশান দপ্তর স্থাপন করে এবং এলাকায় ব্যাপক অগ্নিসংযোগ গুলিবর্ষণ করে। মেজর আরিফের নেতৃত্বে এখানে ৫ শতাধিক সৈন্য মোতায়েন করা হয়। পাকসেনারা স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ ও নারীদের ধরে টেশিসের একটি ঘরে নির্যাতন করে হত্যা করত।
ব্রিগেডিয়ার করিমুল্যাহর নির্দেশে জয়দেবপুর সমরাস্ত্র কারখানার ওয়ার্কস ম্যানেজার এ. কে. এম. মাহবুব চৌধুরী, ডা. মেজর নঈমুল ইসলাম, আ. কুদ্দুস মাস্টার, ওয়েফেয়ার অফিসার মাহবুবুর রহমানসহ বেশ ক’জনকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা হয়।