টঙ্গি গণহত্যা ও গণকবর
১৯৭১ এ ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদারদের প্রবেশ ঠেকাতে টঙ্গীর তুরাগ নদীর উপর সেতু ভেঙ্গে এলাকাবাসী সমবেত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সোলায়মান আতিক জানান,জনতা পাকা সেতু ভাঙ্গতে না পেরে পাশের কাঠের সেতুটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় পাকসেনারা নদীর ওপার থেকে মেশিনগান থেকে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়তে থাকে। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মানুষজন এলাকা ত্যাগ করতে গিয়ে অনেকে গুলিতে আহত হয়। বেশ কজন শ্রমিক ও এলাকাবাসী দৌড়ে টঙ্গী রেলস্টেশনের পুবদিকে টঙ্গী বিসিক এলাকার পেসোসকার কারখানার মাঠে অবস্থান নেয়। পাকসেনারা সেদিকেও গুলি করতে করতে এগুতে থাকে। কজন কারখানার মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ত্রাকের নিচে আশ্রয় নেন। এ সময় পাক সেনাদের গুলিতে আবদুল মান্নান, মো. আমিন, হাবিব উল্যাহ, মান্নান প্রমুখ শহীদ হন। পরে স্থানীয় বিসিক কবরস্থানে তাঁদের কবর দেওয়া হয়।