পুলিশলাইন বধ্যভূমি
কুষ্টিয়া পুলিশলাইন ছিল পাকসেনাদের ঘাঁটি। বিহারি ও রাজাকারের সহয়তায় সন্দেহভাজন বাঙালিদের এখানে ধরে আনা হতো। চলতো অকথ্য নির্যাতন। উপরে পা ঝুলিয়ে পেটানো হতো, হাত পায়ের আঙুলে আলপিন ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। যাঁদেরকে হত্যা করত তাঁদের হস্তান্তর করা হতো রাজাকার ও বিহারিদের কাছে। হতভাগ্য এই মানুষগুলোকে পার্শবর্তী রেললাইনের নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানে গুলি চালিয়ে কিংবা জবাই করে মারা হতো তাঁদের। পুলিশ লাইনের বন্দীদশা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয় অধ্যাপক দুর্গাদাস সাহাকে। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্য সূত্রঃ একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-১০৯, ৪০০; যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ – ডাঃ এম এ হাসান, পৃ.-৩৯৯; মুক্তিযুদ্ধ কোষ, দ্বিতীয় খন্ড – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত, পৃ.-৩৬০; দৈনিক সংবাদ, ২১ মে ১৯৯৩)