নীলুর খামার বধ্যভূমি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভুরুঙ্গামারী সড়ক থেকে ১ কি.মি. পশ্চিমে নীলুর খামার গ্রামটির অবস্থান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “দিনটি ছিল একাত্তরের ১৮ নভেম্বর, ২৬ রমজান। এই গ্রাম থেকে ২ কি.মি. দূরে রায়গঞ্জ সেতুর পাশে খান্সেনারা অবস্থান গ্রহণ করে। ঐ দিন এই গ্রামের সদ্য প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন নওাজিশের নেতৃত্ব গ্রামের একটি বাড়িতে দুপুরের খাবার খাচ্ছিল। এ সময় খানসেনারা এই গ্রামের ওপর হামলা চালায়। গ্রামের অনেক ঘরবাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং একটানা গুলি করতে করতে তারা মুক্তিযোদ্ধারাও পালটা গুলি চালায়। কিন্তু তাঁদের গুলির পরিমাণ সীমিত থাকায় এক পর্যায়ে তারা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের ধরতে না পেরে খানসেনারা গ্রামের লোকজনের ওপর এলোপাথারি গুলি করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা অনেককে ধরে এই গ্রামের পাশে ঢড়কা বিলের তীরে এক বাঁশঝাড় নিয়ে হত্যা করে। এদিন গ্রামের প্রায় ৭৯ জন শহীদ হন। পরে খান্সেয়ানরা পরে খানসেনারা চলে গেলে গ্রামবাসী এই শহীদের কয়েকটি কবরে মাটিচাপা দেয়। সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েও অনেকে আবার বেঁচে যায়। (নাগেশ্বরী ‘শেকড়’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লিটন চৌধুরী ও প্রত্যক্ষদ্ররশীদের বিবরণ থেকে সংকলিত।)
আহসান হাবীব নীলু
(নাগেশ্বরী ‘শেকড়’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লিটন চৌধুরী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে অধিকাংশ তথ্য সংগৃহীত)