কোদালকাঠি বধ্যভূমি
২৫ অক্টোবর অর্ধ শতাধিক নিরীহ–নিরস্ত্র বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করে পাকবাহিনী। ব্রহ্মপুত্র নদের এক দ্বীপে শংকর মাধবপুর গ্রাম। রাজিবপুর থানার কোদালকাঠি ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। তারামন বিবির জন্মস্থান এই শংকর মাধবপুর গ্রাম। সে স্থানটির দখল এবং পালটা দখল নিয়ে অন্তত দু’বার হয়েছে সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এতে মার খেয়েছে পাকিস্তান সেনারা। আর এই প্রতিশোধ নিতে পাকবাহিনী গ্রামবাসীকে হত্যা করে। নিহতরা হলেন,- ১. আব্দুর রহমান, ২. মোকছেদ আলী, ৩. মোহাম্মদ আলী, ৪. খোরশেদ আলী মুন্সী, ৫. আব্দুল বারী, ৬. কুতুব আলী, ৭. মন্তাজ আলী দেওয়ান, ৮. বাদশা দেওয়ান, ৯. আব্দুল গনি, ১০. আয়নাল হক, ১১. ফজল হক, ১২. পাছালী শেখ, ১৩. মোকছেদ আলী, ১৪. মোহাম্মদ রুস্তম, ১৫. জুরান শিকদার, ১৬. নূরুল ইসলাম, ১৭. আজিজুল হক, ১৮. আজিজুর রহমান, ১৯. ময়না শেখ, ২০. হেলাল বেপারী, ২১. নতুব আলী, ২২. জব্বার আলী, ২৩. মেজান শেখ, ২৪. হযরত আলী, ২৫. লাল চান, ২৬. এন্তাজ আলী, ২৭. আবুল হোসেন, ২৮. আয়েন উদ্দিন, ২৯. কছিম উদ্দিন, ৩০. আছমত আলী, ৩১. আব্দুল আজিজ, ৩২. সোবহান বেপারী, ৩৩. বিষু শেখ, ৩৪. আয়োরী বেওয়া, ৩৫.আব্দুল আজিজ (২), ৩৬. ইনুছ শেখ, ৩৭. সিদ্দিক আলী, ৩৮. মজিদ সরকার, ৩৯. সায়েজ আলী, ৪০. তোরান মেলা, ৪১. আব্দুল গফুর, ৪২. সোয়াগি বেওয়া, ৪৩. আরজ উলাহ প্রমুখ।
অন্যসূত্রে, কুড়িগ্রামের রৌমারী থানা সদর থেকে ৭/৮ মাইল দূরে কোদাল্কাঠিতে রয়েছে দুই থেকে তিনশ’ মুতিযোদ্ধার গণকবর। কোদালকাঠিতে সংঘটিত এক যুদ্ধে এঁরা শহীদ হন। এছাড়া ফুলবাড়ি ও ভুরুঙ্গামাড়ি থানায় আরও কয়েকটি গণকবর রয়েছে। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্য সূত্রঃ যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ – ডাঃ এম এ হাসান, পৃ.-৪১১; একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-৮১)