ডাকবাংলো গণকবর
কুড়িগ্রামের উলিপুর ডাকবাংলো ছিল গণহত্যা ও নারী নির্যাতনের প্রধান কেন্দ্র। রেল লাইনের ধারে অবস্থিত ডাকবাংলোয় মুক্তিযুদ্ধের সময় কেউ গিয়ে ফিরে আসার নজির নেই। পাকসেনাদের খেতাবপ্রাপ্ত অস্থায়ী মেজর শাহাবুদ্দিন এবং রাজাকাররা গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়েদের ধরে এনে এই ক্যাম্পে সরবরাহ করতো। মেয়েদের সবসময় ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হতো। নির্যাতন ও ধর্ষন করার পর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাঁদের হত্যা করা হতো। তারপর রাজাকাররা ডাকবাংলোর আশেপাশে তাঁদের লাশ গর্ত খুঁড়ে পুঁতে রাখতো। এভাবে এই ডাকবাংলোয় ঘাতক নরপশুরা যে কত নারী ও পুরুষকে নির্যাতন ও হত্যা করেছে তার হিসাবনিকেশ আজ পর্যন্ত মেলানো সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতার পর ডাকবাংলোর চারদিকে ৮/১০টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। দুটি গর্তে নিহত মেয়েদের হাতের আঙুল ও মাথার চুল ওপরে ভেসে থাকতে দেখা গেছে। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্য সূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস, দ্বিতীয় খন্ড – আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সম্পাদিত, পৃ.-১৯৮–১৯৯)