কুড়িগ্রামে ৫ কারারক্ষীর প্রথম বধ্যভূমি
১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল পাকিস্তানি হান্দার বাহিনী রংপুর সেনানিবাস থেকে রেলপথে কুড়িগ্রাম কারাগার ইনচার্জ ও ৫ কারারক্ষীকে ধরে এনে বিকাল সড়ে ৫টার দিকে বর্তমান সার্কটি হাউজের সামনের রাস্তার পূর্বদিকে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় মরুয়ে ৬ জনকে গুলি করে। ঘটনাস্থলে নিহত হন কারারক্ষী লাল মোহাম্মদ, আনছার আলী, সাজ্জাদ হোসেন ও জহির উদ্দিন। গুলিতে গুরুত্বর আহত কারাগার ইনচার্জ শেখ হেদায়েত উল্যাহ রাত ১১টার দিকে মারা যান। গুলিবিদ্ধ কারারক্ষী আব্দুল জলিল ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। পাকবাহিনী রংপুর ফিরে যাওয়ার পর রাতে স্থানীয় অধিবাসী হারুন অর রশীদ লাল, মতিউল ইসলাম চৌধুরী নয়া ও রজব আলীসহ কয়েকজন ৫টি লাশ উদ্ধার করে কারাগারের পাশে একটি বড় গর্ত খুড়ে কাফন ছাড়াই দাফন করেন। এটিই ছিল পাকবাহিনীর কুড়িগ্রামে প্রথম হামলা। সংরক্ষনের অভাবে কবরগুলো এখন নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু জানান, নিহত এই কারারক্ষীরা মুক্তিযুদ্ধকালীন জেলার প্রথম শহীদ।