ইটনা বয়রা বধ্যভূমি
কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে ’৭১–এর বহু বধ্যভূমি। হাওর অধ্যুষিত ইটনার বয়রা এলাকায়ও রয়েছে এমনই এক বধ্যভূমি। মুতিযুদ্ধকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু বাঙালিকে পাক হানাদাররা স্থানীয় দোসরদের সহায়তায় ধরে এনে নারকীয় কায়দায় হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। আবার অনেক লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়। বয়রা বধ্যভূমিতে এখন পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধকালীন ইটনার জয়সিদ্ধ এলাকায় বয়রা বধ্যভূমিতে বহু মানুষকে গুলিতে বা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। অনেককে জ্যান্ত মাটিচাপা দেওয়ার মত লোমহর্ষক ঘটনাও শোনা যায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হাওর এলাকার মানুষ, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষগুলো বয়রার পাশ দিয়েই নৌকায় ভারতের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিতে যেতেন। আর হানাদারারা রাজাকার আলবদরের সহায়তায় এসব পরিবারকে আটক করে গোটা পরিব্রকেই নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। ‘বয়রা বধ্যভূমিতে হাওরের বিভিন্ন এলাকার মানুষকে হত্যা করা হলেও মিঠামইনের ছত্রিশ এবং ঢালারগাও গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরাই বেশি হত্যাযজ্ঞের শিকার হয় অনেকে বলে থাকেন। কোনো কোনো পরিবারের সব সদস্যই শহীদ হয়েছেন। পরবর্তীতে স্বার্থাণেষী মহল এসব পরিবারের জমিজমা বাড়িঘর দখল করে নেয়।