You dont have javascript enabled! Please enable it!

মাইন বিস্ফোরণ

ফুলবাড়ীয়া ঃ ২০শে সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলার ফুলবাড়ীয়া বাজারে গােপন মাইন বিস্ফোরণে ১ জন মেজর সহ ১১ জন পাক সেনা ও ১৭ জন রাজাকার নিহত হয়। এই ঘটনার পর পরই পাক দস্যুরা ঘাটী ত্যাগ করে লঞ্চ ও নৌকা যােগে পালানাের সময় মুক্তি বাহিনীর মেশিন গানের গুলি বর্ষণে ১ টি নৌকা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয় এবং লঞ্চটির ও বিশেষ ক্ষতি সাধন হয়। ১৫জন খানসেনা নিহত গত ২১শে সেপ্টেম্বর মুক্তি বাহিনীর চোরাগুপ্ত আক্রমণে পােনাশাইল ৭ জন, বাইন্ধা গ্রামে ১ জন খানসেনা ও ৫ জন রাজাকার নিহত হয়। একই দিনে ভালুকা থানার সিস্টোরের নিকট গাদহমা গ্রামে মুক্তি বাহিনীর গুলিতে আরও ৭ জন হানাদার সেনা নিহত হয়।  তিন শত রাইফেল উধাও টাঙ্গাইল জেলার বল্লা বাজার ঘাটী থেকে পাক দস্যুদের তিনশত রাইফেল হারিয়ে গেছে।

খবরে প্রকাশ পাক দস্যুদের অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে রাজাকাররাই ঐ তিন শত রাইফেল গােপন করে ফেলে। পাক দস্যুর অনেক ধরপাকড় করে ও এই রাইফেল গুলির কোন হদীস না পাওয়ায় স্থানীয় তথাকথিত শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের উপর বিশেষ চাপ প্রয়ােগ করছে। টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন রণাঙ্গনে মুক্তি বাহিনীর বিশেষ সাফল্য টাঙ্গাইলের সিংহপুরুষ কাদেরের নেতৃত্বে গত ছয় মাসে টাঙ্গাইলের বল্লা, কাসুটিয়া, চারান, বাশাইল, দেওপাড়া, শশালাকুড়া, গর্ডনাে ছিদ্দিক বাজার গােপাল পুর, শয়া পলিয়া কালিহাতী, পাথর কাটা বৈলামপুর কাউলজানি ও অন্যান্য বিভিন্নস্থানে মুক্তিবাহিনীর দুঃসাহসিক আক্রমণে মােট ৪৭০ জন বর্বর পাকসেনা, বহু রাজাকার ও দালাল নিহত হয়। টাঙ্গাইলের পৃক্ষাগৃহে (রূপবানী) ও পাওয়ার পাম্পে গ্যানেট চার্জ করে বিশেষ ক্ষতি সাধন করে। পাক নৌজাহাজ বিধ্বস্ত (সংবাদদাতা প্রেরিত) ১০/১১/১২ই আগষ্ট। নারায়ণগঞ্জ হতে পাক নৌবাহিনীর আর. এস. ইউ, ইঞ্জিনিয়ার্স এল, সি, নামে ৯ কোটী টাকার অস্ত্র সন্ত্র, গােলাবারুদ বােঝাই একটি জাহাজ এবং একটি লঞ্চ টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের কাছাকাছি ধলেশ্বরী নদী দিয়ে মাটি কাটায় পৌছামাত্র মুক্তি বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে তুমুল যুদ্ধ। সংঘটিত হয়। ফলে ১২২ জন পাক সৈন্য নিহত হয় এবং বিস্ফোরণে জাহাজ ও ও লঞ্চ ধ্বংস হয়।

জাগ্রত বাংলা ১ : ৩

৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

সূত্র:  গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ -খন্ড  ০৯

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!