You dont have javascript enabled! Please enable it!

অধিনায়ক আফসারের নেতৃত্বে ছ’মাস

ময়মনসিংহ সদর দক্ষিণ, উত্তর ঢাকা ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন রণাঙ্গনে অধিনায়ক আফসারের নেতৃত্বে। মুক্তিযােদ্ধাদের অবিশ্বাস্য সাফল্য নিম্নে বর্ণনা করা হল। ২৬-৪-৭১ ও ২-৫-৭১ ইং তারিখে ভালুকা থানা আক্রমন করে মােট ২৭টি রাইফেল ও ৫০০ রাউন্ডগুলি উদ্ধার করা হয়। ২৩-৫-৭১ইং বাইন্দা নিবাসী দালাল এছহাক খা নিহত। ২৫-৫-৭১ইং ভাওয়া নিবাসী দালাল ছাজেদ আলী ও কেলু নিহত। ২৮-৫-৭১ইং পুনাশাইল নিবাসী আবুল হাশেম খাঁ নিহত।  

২১-৬-৭১ইং পুনরায় ভালুকা থানা আক্রমন করে ১০টি রাইফেল ২টি বেরেটা গনি ও ১ বাক্স এমনিশন উদ্ধার করা হয়। | ২২-৬-৭১ইং ৩টি চায়না রাইফেল ও ৬ বাক্স এমনিশন উদ্ধার।

 ২৫-৬-৭১ইং ভালুকা থানার অন্তগর্ত ভাওয়ালিয়া বাজু ঘাটে দীর্ঘ ৪১ ঘণ্টা সম্মুখ যুদ্ধে ১৫২ জন পাক দস্যু নিহত ও ৭৫ জন আহত হয়। এই যুদ্ধে ব্যাপক হাওয়াই হামলা হয় এবং ছত্রি সৈন্য নামানাে হয়। আমাদের আব্দুল মান্নান নামে একজন মুক্তি সেনা শহীদ হন।

২৮-৬-৭১ইং ভালুকা থানা আক্রমণে ১৭ জন শত্রুসেনা নিহত হয়। ৬-৭-৭১ইং দালাল আব্দুল আযীয নিহত।

১৪-৭-৭১ইং ঢাকা জেলার শ্রীপুর থানার কুখ্যাত দালাল বিধাইগেষ্ণু ধৃত হয় ও ১৮ জন নিহত হয়। ১টি রাইফেল সহ ২০০ রাউন্ড গুলী মুক্তি যােদ্ধাদের হস্তগত হয়।

১৭-৭-৭১ইং গফরগাঁও থানার দেইলপাড়া ট্রেন আক্রমণে ৭ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়।

১৯-৭-৭১ইং রাত্রি ৩টা ২০ মিনিটে সিডষ্টোর বাজার আক্রমণ করা হয়। এই আক্রমণে ২১ জন পাকসেনা নিহত ও ৭ জন আহত হয়।

২০-৭-৭১ইং ভায়াবহ নিবাসী কুখ্যাত দালাল আটইলর ঘা নিহত হয়। ২৫-৭-৭১ইং রাত ৪-২০ মিঃ মল্লিকবাড়ী আক্রমণে ২০ জন খতম ও কয়েকজন আহত হয়।

১-৮-৭১ইং বেলা ১২ ঘটিকায় ভয়াবহ গােদারা ঘাটে ছয়জন পাকসেনাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। | ৪-৮-৭১ইং মল্লিকবাড়ীর ২ মাইল পশ্চিমে চাঁদপুরে পিছন দিকে থেকে আক্রমণ করে ১৬ জন। পাকসেনা খতম করা হয় ও বহু মালপত্র উদ্ধার করা হয়।

৫-৮-৭১ইং ঢাকা জেলার শ্রীপুর থানার ২ জন দালাল নিহত হয়। | ৯-৮-৭১ইং মল্লিকবাড়ী আক্রমন করায় ৪ জন রাজাকার ও ২ জন পাকপশু নিহত হয়।

১০-৮-৭১ মল্লিকবাড়ী ঘাটে নৌকা আক্রমণে ১৪ জন পাকসেনা ২ জন রাজাকার ও ২ জন নৌকার মাঝি নিহত হয়।

শেষ গােসল ১৫ই আগস্ট ঃ মল্লিকবাড়ী ঘাটে পাকদস্যুরা গােসল করার সময় মুক্তি বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে ২ জন পাক দস্যু ও ২জন রাজাকার নিহত হয়।

১৩-৮-৭১ তারিখে পাক পশুরানদী পথে মল্লিকবাড়ী ঘাটী থেকে ভালুকা অভিমুখে যাওয়ার সময় আমাদের জোয়ানদের দুঃসাহসিক আক্রমনে ২৬ জন রাজাকার ও ২ জন পাক হানাদার নিহত হয়।

রাজাকার হত্যা। ১৪ই আগষ্ট আঙ্গারগড়ার জন সাধারণ একজন রাজাকার দৌড়িয়ে ধরে এবং মুক্তি বাহিনীর হাতে সােপর্দ করার পর তাকে হত্যা করা হয়।

নদী পথে আক্রমণ ১৫ থেকে ২৫শে আগষ্ট পর্যন্ত মল্লিক বাড়ী ও ভালুকার নদী পথে বিভিন্ন পর্যায়ে মুক্তি বাহিনীর চোরা গুপ্ত আক্রমণে মােট ৪৭ জন খান সেনা ও ১৪ জন রাজাকার খতম হয়, এবং ২২ তারিখে ভয়াবহ কাছারীতে পাকবাহিনীর আয়ােজিত শান্তি কমিটির মিটিং এ মুক্তি বাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালানাের ফলে ৭ জন পাক সৈন্য নিহত হয়। 

১ জন রাজাকার নিহত ২৬শে আগষ্ট কাঠালিয়ার রাজাকার দেলুয়ারকে বাটাজোরের রক্ষী বাহিনী ধরে এবং মুক্তি বাহিনীর নিকট সমর্পণ করে এবং তাকে হত্যা করা হয়।  গত ২৮শে আগষ্ট কালিয়াকৈর থানার অন্তর্গত ফুলবাড়ী ইউনিয়নের শালপাড়ার কুখ্যাত দালাল সাহেবালীকে হত্যা করা হয়। ৩রা আগষ্ট ওসমান ও বড়ইবাড়ী ইউঃ এর কুখ্যাত দালাল আলীকে হত্যা করা হয়।

রাজাকার ঘাটী দখল ৩০শে আগষ্ট কালিয়াকৈর থানার ফুলবাড়ী রাজাকার ঘাটী আক্রমণ করে ১৫ জন রাজাকার ধরে। ১৭টি রাইফেলসহ ৪ হাজার রাউন্ড গুলি মুক্তিবাহিনীর হস্তগত হয়।

গত ১৬ই সেপ্টেম্বর বড়ইবাড়ী বাজারে পাক দস্যুরা লুটপাট শুরু করলে মুক্তি বাহিনী তাদের আক্রমণ করে। ফলে ১ জন পাক দস্যু নিহত হয় এবং ১ টা চাইনিজ রাইফেল উদ্ধার করা হয়।

জাগ্রত বাংলা ১: ৩ ৪

৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

সূত্র:  গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ -খন্ড  ০৯

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!