You dont have javascript enabled! Please enable it!

আলবদরদের যাত্রা শুরু

[pdf-embedder url=”https://songramernotebook.com/wp-content/uploads/securepdfs/2021/02/albadre.pdf”]
আলবদর সম্পর্কে তথ্য যা পাওয়া যায় তাতে কোন ধারাবাহিকতা নেই। আলবদর শিরোনামে নির্দিস্ট তথ্যই পাওয়া দুষ্কর। এ নিয়ে যে তথ্য পাওয়া যায় সেই মতে এপ্রিলের (১৯৭১) শেষের দিকে আলবদর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং কালক্রমে ছাত্রসংঘকেই আলবদরে রূপান্তর করা হয়। সুতরাং, ছাত্রসঙ্ঘ ও আলবদর একই।

মেজর রিয়াদ হুসাইন যিনি আলবদর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আলবদর নামেই সঙ্ঘের তরুণদের সংগঠিত করা হয়। আবু সাইদ আলবদরদের সম্পর্কে লিখেছেন আগস্ট (১৯৭১) মাস থেকেই সারাদেশে ইসলামী ছাত্রসঙ্ঘকে আলবদরে রূপান্তর করা হয়। রেজা নসর ও তার পূর্বোক্ত বইয়ে লিখেছেন, সেনাবাহিনীর সাহায্যে ইসলামী জমিয়ত ই তুলাবা আলবদর ও আল শামস নামে দুটি প্যারামিলিটারি ইউনিট গঠন করে। আলবদরের প্রায় সব সদস্য ছিল তুলাবার। অর্থাৎ ছাত্রসঙ্ঘ আর আলবদরের মধ্যে কোন তফাৎ নেই। সেই কারণেই ছাত্রসঙ্ঘের নেতারাই ছিলেন আলবদরের, আলশামসের নেতা। এছাড়াও তৃনমূল পর্যায়ে বা অপারেশনাল পর্যায়েও কমান্ডার ছিল। এ কারণে তুলাবার নাজিম ই আলা মতিউর রহমান নিজামি ছিলেন আলবদরদের প্রধান। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রসঙ্ঘের প্রধান হওয়ার কারণে রূপান্তরিত হন পূর্ব পাকিস্তান আলবদর বাহিনীর প্রধানে। বিভিন্ন জেলা ছাত্রসঙ্ঘের নাজেম বা প্রধান রূপান্তরিত হন ঐ এলাকার বদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে। যব উ নাজিম ই আলা থি (১৯৮১) গ্রন্থের সম্পাদককে এক স্বাক্ষাতকারে মতিউর রহমান নিজামি জানিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে আলবদর ও আলশামসের কর্মিদের যোগাড় করত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসঙ্ঘের সদস্যরাই এই দুই ইউনিটের সদস্য ছিল। একারণেই নিজামি লিখেছিলেন বিগত দু বছর থেকে পাকিস্তানের একটি তরুণ কাফেলার ইসলামী পুনর্জাগরন আন্দোলনের ছাত্র প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসঙ্ঘ এই ঐতিহাসিক বদর দিবস পালনের সূচনা করেছে। সারা পাকিস্তানে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে এই দিবস উদযাপিত হওয়ার পেছনে এই তরুণ কাফেলার অবদান সবচেয়ে বেশি। [দৈনিক সংগ্রাম, ১৪-১১-১৯৭১]
Reference:
আলবদর ১৯৭১ | মুনতাসির মামুন

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!