দেওপাড়ায় ৫৬ জন শত্রুসেনা খতম
হানাদার ঘাটিতে অগ্নি সংযােগ। বিগত ২১শে জুলাই থেকে সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত লাটটাইল জেলায় দেওপাড়া রণাঙ্গনে বর্বর পাক হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর যে প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়েছে শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত রয়েছে। মুক্তি বাহিনীর দুঃসাহসিক গেরিলাযােদ্ধারা অমিত বিক্রমে জল্লাদবাহিনীকে বিরামহীন আঘাত হেনে চলছেন। গেরিলা বাহিনীর প্রবল আক্রমণাত্মক তৎপরতার সামনে পাক বাহিনী টিকতে না পেরে তাদের ছাউনিতে কচ্ছপের মত গুটিয়ে বসেছে। গত ২৭শে জুলাই মুক্তিবাহিনীর একটি শক্তিশালী গেরিলা স্কোয়াড রাত্রিবেলা অতর্কিতে তাদের খােদ ছাউনি ঘিরে ফেলেন এবং মধ্যরাত্রিতে অগ্নিসংযােগ করেন। অগ্নিবেষ্টনী থেকে বেরিয়ে পড়ার সময় দুঃসাহসীক গেরিলারা ১১জন রাজাকারসহ ৩০জন শত্রুসেনাকে খতম করেন এবং ১৯জনকে দারুনভাবে আহত করেন। এই অগ্নিসংযােগের ফলে শত্ৰুছাউনি সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়। পরদিন ভােরে পাক হানাদার বাহিনী হেলিকপ্টারের সাহায্যে মৃত পাঞ্জাবি সেনাদের উঠিয়ে নেয় আর রাজাকারদের ১১টি লাশ পানিতে ভাসিয়ে দেয়। মুক্তিবাহিনী ১লা ও ২রা আগস্ট অতর্কিত আক্রমণ করে বর্বর ইয়াহিয়া দস্যুসেনাদের ১৯জনকে নিহত এবং ৩১জন আহত করেন এবং যুদ্ধক্ষেত্র থেকেই ৭জন রাজাকারকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করেন। এই সব রাজাকাররা আমাদের প্রতিনিধির নিকট জানিয়েছে যে, তাদেরকে বলপূর্বক রাজাকারে ভর্তি করা হয়েছে। রণাঙ্গনে …
রণাঙ্গণ (১) ৩ সংখ্যা
৮ আগস্ট ১৯৭১
সূত্র: গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ -খন্ড ০৯ –রণাঙ্গণ