You dont have javascript enabled! Please enable it!

অধিনায়ক আফসারের নেতৃত্বে বিভিন্ন রনাঙ্গণ মুক্তিফৌজের অভূতপূর্ব সাফল্য

একচল্লিশ ঘণ্টাযুদ্ধ-নতুন রেকর্ড সৃষ্টি ভাওয়ালিয়াজু, ২৫শে জুন ময়মনসিংহ জেলার ভাওয়ালিয়াবাজু (ভালুকা থানা) বাজারের মাঠে দীর্ঘ ৪১ ঘণ্টা যুদ্ধে পাক সেনাদের একশত বাহান্ন জন নিহত ও বহু সংখ্যক আহত হয়। মুক্তিফৌজ একজন শহীদ হন। এইযুদ্ধে পাক দস্যুদের বহুক্ষতি সাধিত হয়। তারা বিমান নিয়ে বােমা ফেলতে ও ছত্রিসেনা নামাতে বাধ্য হয়। ভালুকা থানা, ২৬শে জুন ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানায় গ্রেনেট চার্জে ১৭ জন নিহত ও বহুসংখ্যক আহত হয়। | দেলপাড়া, ১৭ই জুলাইগফরগাঁও থানার মশাখালি ষ্টেশনের দক্ষিণে দেইলপাড়া মুচি বাড়ীর নিকট রাত ৩.৩০ মিনিটে তাতার বাহিনীর ট্রেন আক্রমণ করার ফলে ৭ জন নিহত ও কয়েকজন গুরুতররূপে আহত হয়।  ১৯শে জুলাই ভালুকা থানার সীষ্টোর বাজারে (পাক্ষীর চালায়) রাত ৪,২০ মিনিটে পাক দস্যুদের তিন দিক থেকে প্রচন্ড ভাবে আক্রমণ করা হয়; ফলে ১২ জন খতম ও ৯ জন গুরুতর রূপে আহত হয়। মুক্তিবাহিনীর ভয়াবহ আক্রমণে পাক সেনারা ঘাটি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।  ২৬শে জুলাই রাত ৪,৩০ মিনিটে ভালুকা থানায় দ্বিতীয় বার আক্রমণ করা হয় এবং একই সময়ে উক্ত থানার অন্তর্গত মল্লিক বাড়ী বাজারে পাক দস্যুদের আক্রমণ করা হয়। গেরিলাদের প্রচন্ড আক্রমণে দস্যুরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। উভয় স্থানে ২০ জন পাক সেনা নিহত ও ১২ জন আহত হয় সকাল ৯ ঘটিকায় মল্লিকবাড়ী বাজারে হেলিকপ্টার নেমে মৃতদেহগুলি ঢাকায় নিয়ে যায়।

ফুলবাড়ী, ২৮শে জুলাই ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার মটবাড়িতে পাক বাহিনীর ট্রাকের উপর অতর্কিতে হামলার ফলে ২৪ জন নিহত ও বহু আহত হয়। প্রকাশ…মেজর নিহত হয়। পাকবাহিনীর বিকট চিৎকার ও মালপত্র ফেলে পলায়ন চাঁদপুর ১লা আগষ্ট। ভালুকা থানার অন্তর্গত চানপুর ও সােনাখালীর মাঝখানে মুক্তিবাহিনী পাক বাহিনীকে অতর্কিতে আক্রমন করে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, মল্লিক বাড়ী থেকে ৪ মাইল পশ্চিমে সাঙ্গার সাড়া বাজারে ও পার্শ্ববর্তী বাড়ীতে লুটতরাজ শুরু করে। দাতব্য চিকিৎসালয় ও স্কুলের বিজ্ঞান গবেষণাগারের যন্ত্রপাতি নষ্ট করে। সেই সময়ে মুক্তিফৌজের সংবাদ পেয়ে পেছনে পালাতে শুরু করে।  পথিমধ্যে চানপুর অঞ্চলে মুক্তিবাহিনী পেছন থেকে মটার আক্রমণ চালায়। এই অতর্কিত আক্রমণে পাক। সেনারা “কিয়া মুছিবত হ্যায়।” কিয়া মুছিবত হ্যায়।” বলে বিকট চিৎকার করে উধ্বশ্বাসে দৌড়াতে শুরু করে। মুক্তি বাহিনীর গুলিতে ১৪ জন পাকসেনা নিহত ও ৩ জন আহত হয়। ১টা ব্যারােমিটার একটা চাইনিজ মেশিন গানের ফিতা সহ প্রচুর মালপত্র মুক্তিফৌজের হস্তগত হয়। বেশ কিছু গােলাবারুদও ফেলে যায়। টাঙ্গাইল বীর কাদেরের নেতৃত্বে টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন রণাঙ্গনে তুমুল যুদ্ধ চলেছে। খবরে প্রকাশ, ২৮শে জুন কালিহাতী থানার চারটা বিলে মুক্তিবাহিনীর যুবকরা পাক সেনার ৫টি নৌকা বিধ্বস্ত করে দেয়। | বল্লা বাজারে, হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে আছে। প্রতিদিনই উভয় দলের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে। এপর্যন্ত ৬ সৈন্য নিহত ও বহু আহত হয়েছে। এখানে এ রণাঙ্গনে যুদ্ধ চলেছে।

জাগ্রত বাংলা ১:

২১ আগস্ট ১৯৭১

সূত্র:  গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ -খন্ড  ০৯ –জাগ্রত বাংলা

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!