You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.11.16 | ভুট্টোর প্রতি গুলি ও জঙ্গী রাজনীতির ধাধা বাড়ছে না কমছে - আবদুল গাফফার চৌধুরী - সংগ্রামের নোটবুক

ভুট্টোর প্রতি গুলি ও জঙ্গী রাজনীতির ধাধা বাড়ছে না কমছে

— আবদুল গাফফার চৌধুরী

পাকিস্তান পিপলস্ পারটির নেতা মিঃ জেড এ ভুট্টো সম্প্রতি একটি ইঙ্গিতময় উক্তি করেছেন। তিনি বলেছেন, “ভারতকে আমি মাত্র দু মাস ধৈর্য ধারণের অনুরােধ জানাই। শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বলেছেন তিনি পাকিস্তানের জঙ্গী শাসকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন না। বেশ তাে। দুমাস ধৈর্য ধারণ করলেই তিনি পাকিস্তানের অসামরিক সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। বলা বাহুল্য, মিঃ ভুট্টো তার চরিত্র ও অভ্যাস অনুযায়ী শ্রীমতী গান্ধীর বক্তব্যের বিকৃত ব্যাখ্যা করেছেন । শ্রীমতী গান্ধী ওয়াশিংটন, প্যারিস ও বনের সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট ভাষাতেই বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সমস্যা সমাধানের জন্য ইয়াহিয়া খানকে অবশ্যই সে দেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এ ব্যাপারে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের আলাপ হতে পারে না।’ এক সাংবাদিক সভায় শ্রীমতী গান্ধী ভারত-পাকিস্তান আলােচনা বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশ্নোত্তরে বলেছেন, ‘ভারত কার সঙ্গে আলােচনা করবে? পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের সঙ্গে? কি বিষয়ে?’ এখানে শ্রীমতী গান্ধী পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক ও জনপ্রতিনিধিমূলক শাসনব্যবস্থার অনুপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন, কেবল অসামরিক শাসনব্যবস্থার নয় । অসামরিক শাসন প্রবর্তিত হলেই তাকে গণতান্ত্রিক অথবা জনপ্রতিনিধিমূলক শাসন বলে গণ্য করতে হবে এটাই বা মিঃ ভুট্টোকে কে বলেছে? তাহলে পূর্ব। বাংলার ডাঃ মালিকের নেতৃত্বে জনসমর্থনবঞ্চিত ও ডিসেম্বর-নির্বাচনে পরাজিত কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নিয়ে যে অসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাকেই গণতান্ত্রিক সরকার বলে স্বীকার করে নিতে হয়। অথচ মিঃ ভুট্টো নিজেই কিছুদিন আগে পূর্ব বাংলার অসামরিক সরকারকে “পুতুল সরকার” আখ্যা দিয়েছিলেন। সম্ভবত মিঃ ভুট্টোর ধারণা, যেহেতু তাঁর দল গত ডিসেম্বরের নির্বাচনে পশ্চিম পাকিস্তানের দুটি রাজ্যে গরিষ্ঠতা অর্জন করেছে; সেহেতু তাঁর দলকে পাকিস্তানের বর্তমান সামরিক ‘জুনটা’ ক্ষমতার অংশীদার। করে নিলেই তাদের সামরিক চরিত্রের খােলস খসে গিয়ে অসামরিক ও প্রতিনিধিত্বমূলক চরিত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রেও শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী এখনও বাংলাদেশ সমস্যায় যে সব কথা বলেছেন, তা সবই পাকিস্তানের গত ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনী রায়ের ভিত্তিতে। এই নির্বাচনী রায় হলাে, আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে কথা বলার একমাত্র দাবিদার এবং পাকিস্তানের একমাত্র নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ দল।

গােটা পাকিস্তানে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের অথবা বাংলাদেশ সমস্যার কথা বলতে হলে ইয়াহিয়া সরকারকে এই আওয়ামী লীগ এবং তার নেতা শেখ মুজিবরের সঙ্গে কথা বলতে হবে। শ্ৰীমতী গান্ধীর সরকার মনে করেন, এটাই বর্তমান সমস্যার সর্বোত্তম শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং একমাত্র এই ধরনের সমাধান দ্বারাই বাংলাদেশের এক কোটি শরণার্থীর প্রত্যাবর্তনের মত পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং ভারতও। শরণার্থীদের এই অসহনীয় বােঝা বহন থেকে অব্যাহতি পাবে। সুতরাং বর্তমান সমস্যার স্থায়ী ও সঙ্গত। সমাধানের পথ এড়িয়ে এবং নিজে সংবিধান রচনা করে জেনারেল ইয়াহিয়া মিঃ ভুট্টোর দলকে কেন্দ্রে ও বিভিন্ন রাজ্যে কয়েকটি মন্ত্রিপদ দিয়ে তাকে সামরিক শাসনের অসামরিক খােলস হিসেবে ব্যবহার করলেই পাকিস্তানে অসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হল এবং এই তথাকথিত অসামরিক শাসকদের সঙ্গে শ্রীমতী গান্ধী আলােচনা বৈঠকে বসতে উৎসাহিত হবেন, এটা সুস্থ মাথায় কারাে পক্ষে আশা করা বা সেই আশা প্রকাশ। করা অসম্ভব। তাহলে কি মনে করতে হবে মিঃ ভুট্টো রাজনৈতিক সুস্থতা হারিয়েছেন? আমার মতে মিঃ ভুট্টো মােটেই অসুস্থ লােক নন, কিংবা নেশার ঘােরেও তিনি কথা বলছেন না। পিকিং থেকে ফিরে অত্যন্ত সুস্থ মাথায় তিনি । নতুন খেলায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এই খেলায় তার দ্বৈত ভূমিকা। এক, ভারতকে চীনা জুজুর ভয় দেখিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজী করা। দুই শ্ৰীমতী গান্ধীর মন্তব্যের বিকৃত ব্যাখ্যা করে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে বােঝানাে, ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে আলােচনার সম্মত অথবা আগ্রহী করে তােলার ব্যাপারে। তিনিই একমাত্র সক্ষম অসামরিক ব্যক্তি। অর্থাৎ তাকে ক্ষমতার ভাগীদার করা হলেই ইয়াহিয়ার সামরিক  শাসনব্যবস্থাকে প্রতিনিধিত্বমুলক চরিত্রের অসামরিক সরকার বলা যাবে এবং এই সরকারের সঙ্গে আলােচনার জন্য ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে। পিকিং থেকে ফিরে মিঃ ভুট্টো যদি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে এমন কথা বলে থাকেন যে, তাঁর দল ক্ষমতায় গেলে পিনডিকে মদত দানের ব্যাপারে পিকিং আবার মুখ খুলবে এবং পাকিস্তানের সেই তথাকথিত অসামরিক সরকারের সঙ্গে আলােচনার জন্য ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করবে, তাহলেও বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। ইতিমধ্যে একটি চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছে লাহােরে। গত ১১ নভেমবর তারিখে মিঃ ভুট্টো লাহােরের একটি ডেনটাল ক্লিনিকে ঢুকতে যাচ্ছিলেন।

এমন সময় তার প্রতি পিস্তল থেকে বেশ কয়েকবার গুলি বর্ষণ করা হয়। তবে একটি গুলিও মিঃ ভুট্টোর দেহ স্পর্শ করেনি। তিনি অক্ষত রয়েছেন এবং তাঁর দল দাবি করেছে, ধর্মীয় দল জামাতে ইসলামির সদস্যরাই নিজেদের দলের শ্লোগান উচ্চারণ করে মিঃ ভুট্টোর উপর আক্রমণ চালিয়েছে। | আক্রমণকারীদের কেউ যখন ধরা পড়েনি, তখন আক্রমণকারী হিসেবে যে কোন প্রতিপক্ষ দলকে অভিযুক্ত করা ভুট্টোর দলের পক্ষে সহজ। এটা যদি ভুট্টোর নিজের পিপলস্ পারটির প্রাক্তন উপদলটির কারাে। কাজ হয়, তাহলে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু এই রহস্য কাহিনীর একাধিক সূত্র বড় বিস্ময়কর। প্রথম, আক্রমণটা যদি জামাতে ইসলামির কারাে হয়ে থাকে, তাহলে তার শ্লোগান দিয়ে প্রকাশ্যে নিজেদের পরিচয় চিহ্নিত করে, আততায়ী সাজতে চাইবে কেন? দ্বিতীয়, পিপলস্ পারটির ভুট্টো-বিরােধী প্রাক্তন উপদলের কারাে কাজ হলে এতবার গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় কি করে? তৃতীয়, এত বড় একটি রাজনৈতিক হত্যা প্রচেষ্টা, পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদপত্রগুলি তার নিন্দায় মুখর হলেন না কেন, এমনকি পাকিস্তানে এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে সরকারি বক্তব্যও এখন পর্যন্ত অনুচ্চারিত অথবা বিলম্বিত কেন? সাম্প্রতিক পিকিং ভ্রমণের পর মিঃ ভুট্টো যখন পাকিস্তানের রাজনৈতিক মঞ্চে আবার অন্যতম প্রধান ভূমিকা হয়ে উঠেছেন, ঠিক তখনই তার প্রাণনাশের এই চেষ্টায় লাহাের ও পিনডিতে যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ার কথা, সেই চাঞ্চল্য কই পশ্চিম পাকিস্তানে? তাহলে মিঃ ভুট্টোর প্রাণ নাশের চেষ্টার এই নাটকীয় ব্যাপরটিকে যদি সাজানাে ঘটনা ভাবা হয়, কিংবা ভাবা হয় তার দলের লােকেরাই কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য এই চমকপ্রদ রহস্য নাটিকার আয়ােজন করেছিলেন, তাহলে কি খুব অন্যায় হবে? এই সংক্ষিপ্ত অথচ আকস্মিক রহস্য নাটিকাটি লাহােরে মঞ্চস্থ হওয়ার পেছনে দুটি উদ্দেশ্য কাজ করতে পারে । মিঃ ভুট্টো এখানেও এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করে থাকতে পারেন।

প্রথমতঃ সামরিক জুনটার যে অংশটি ভুট্টো নীতির বিরােধী এবং তিন মুসলিম লীগ, পিডিপি ও জামাত ইসলামির মত ডানপন্থী দলগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক, তার বিরুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানে জনমতের চাপ সৃষ্টি করা, দ্বিতীয় তার পিকিং ভ্রমণে পশ্চিম পাকিস্তানের যে উগ্র ভারত-বিরােধী মহলটিতে অতি প্রত্যাশা জাগ্রত হয়েছিল তা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় অতি নাটকীয় ঘটনা সৃষ্টি দ্বারা এই ব্যর্থতার বিরূপ প্রতিক্রিয়া রােধ করা এবং নিজের প্রতি জনসাধারণের সহানুভূতি আকর্ষণের চেষ্টা। পিকিং থেকে মিঃ ভুট্টো কি ধরনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে পিনড়িতে ফিরেছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। কিন্তু এটা এখন স্পষ্ট, মিঃ ভুট্টোর পিকিং ভ্রমণ দ্বারা পাকিস্তানের সামরিক জুনটার উগ্র ভারত-বিরােধী গ্রুপটির অতি প্রত্যাশা পূরণ হয়নি এবং গােটা জঙ্গী চক্রের কাছে মিঃ ভুট্টো নিজেকে তাদের স্বার্থ ও ক্ষমতা রক্ষার একমাত্র অপরিহার্য ব্যক্তিরূপে এখনও প্রমাণ করতে পারেননি। ফলে মিঃ ভুট্টোর এই ‘গুলির রাজনীতি’ এবং ভারতের প্রতি ধৈর্য ধারণের উপদেশ। যদি সত্যি। সত্যি প্রতিপক্ষের কেউ মিঃ ভুট্টোর প্রতি এই গুলি বর্ষণ করে থাকেন তাহলেও তা ভুট্টোর অনুকূলে গেছে। মিঃ ভুয়ো পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার দ্বন্দ্বে এই গুলি এখন নিজের উদ্দেশ্যসিদ্ধিতে ব্যবহার করেছেন। পিকিং এর ডাল যদি ভাঙে, তাহলে তিনি দিল্লির ডাল ধরবেন। অর্থাৎ পিনডির কাছে প্রমাণ করতে চাইবেন, দিল্লির সঙ্গে সংলাপ শুরু করার ব্যাপারে তিনিই একমাত্র সক্ষম ও নির্ভরযােগ্য অসামরিক ব্যক্তি এবং পিকিং যুদ্ধে তাকে মদত না দিক, পিনডির ক্ষমতার রাজনীতিতে এই মদত তাকে দিবে। এই নতুন খেলায় মিঃ ভুট্টোর তাই শুধু দ্বৈত ভূমিকা নয়, তার কণ্ঠেও দ্বৈত সুর। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে  গঙ্গা ও সিন্ধু নদীর জল লালে লাল করে দেবার হুমকির সঙ্গে সঙ্গে নরম গলায় বলছেন, ভারতের উচিত মাত্র দুমাস ধৈর্য ধারণ করা। তাহলেই তারা আলােচনা শুরু করার জন্য পিনডিতে একটি অসামরিক সরকার পাবেন।’ এই তথাকথিত অসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার দিকেই পাকিস্তানের সামরিক সরকার এগুচ্ছেন মনে হয় । প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি যে খসড়া সংবিধান তৈরি করেছেন, আগামী ২০ ডিসেম্বর তা প্রকাশের কথা।

বাংলাদেশে কয়েকটি উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রহসনও শেষ হয়েছে। আগামী ২৭ ডিসেমবর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। মিঃ ভুট্টোর পিপলস পারটি এবং তার প্রতিপক্ষ পশ্চিম। পাকিস্তানের জামাতে ইসলামি, পিডিপি, তিন মুসলিম লীগ এখন স্ব স্ব শিবির ও শক্তি মজবুত করা নিয়ে। ব্যস্ত। ক্ষমতার অসামরিক ও অনুগত পারটনার বাছাইয়ের ব্যাপারে পিনডির সামরিক চক্রের একটা বড় সবিধা রয়েছে। ভারত বিরােধিতা ও বাংলাদেশ সমস্যায় সামরিক সরকারের অনুসৃত বর্তমান নীতির প্রতি যেমন ভুট্টোর দলের সমর্থন রয়েছে, তেমিন রয়েছে জামাতে ইসলামি, মুসলিম লীগ ও পিডিপি-র সমর্থন। এদের ঝগড়া ক্ষমতা ও পন্থার। সামরিক জুনটার এক গ্রুপ চান জামাত, মুসলিম লীগ ও পিডিপি-কে হাতে রাখতে। অন্য গ্রুপ চান মিঃ ভুট্টোকে খেলাতে এবং উগ্র ভারত বিরােধী নীতি চালিয়ে যেতে। মিঃ ভুট্টোর রাজনৈতিক ভাগ্য তাই একটি সরু সূতােয় ঝুলছে। জঙ্গী জুনটার কাছে তাদের ক্ষমতার স্বার্থ রক্ষায় তিনি অপরিহার্য ব্যক্তি বলে প্রমাণিত না হলে অচিরেই পরিত্যক্ত হবেন। তাই মিঃ ভুট্টো শেষ চেষ্টার মরিয়া হােয়ে উঠেছেন। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামাত, মুসলিম লীগ, পিডিপি বাংলাদেশে সামরিক জুনটার অনুগ্রহ লাভ করে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেছে। এখন পশ্চিম পাকিস্তানেই তার শেষ রক্ষার চেষ্টা। কিন্তু নির্ধারিত ডিসেম্বর মাস শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তান রাজনীতির হাওয়া সামরিক জুনটার অনুগ্রহীত রাজনৈতিক দলগুলির প্রত্যাশায় ও গণনার বাইরে চলে যেতে পারে। সীমান্তে যদি উত্তেজনা বাড়ে, মুক্তিযােদ্ধাদের হাতে যদি বাংলাদেশের বিস্তৃত শহরাঞ্চলের পতন ঘটতে থাকে, তাহলে পাকিস্তানের সামরিক জুনটার সামনে তাদের অস্তিত্ব রক্ষার দুটি মাত্র পথ খােলা থাকবে। মরিয়া হয়ে ভারত আক্রমণ অথবা শেখ মুজিবকে মুক্তি দান এবং সমস্যার সঙ্গত সমাধানের পথে এগুনাে। সেক্ষেত্রে মিঃ ভুট্টো আবার রাজনীতির মঞ্চে গৌণ ও অপ্রধান ভূমিকায় চলে যাবেন।

১৬ নভেম্বর, ১৯৭১

সূত্র:  গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ -খন্ড ০৮, আনন্দবাজার পত্রিকা