You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.09.15 | বাংলাদেশ সরকারকে পরামর্শ দিতে পাঁচটি দলের কমিটি - সংগ্রামের নোটবুক

বাংলাদেশ সরকারকে পরামর্শ দিতে পাঁচটি দলের কমিটি

স্টাফ রিপাের্টার। মুজিবনগর, ৯, সেপ্টেম্বর-গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তার জন্য আজ এখানে আওয়ামী লীগসহ পাঁচটি দলের আটজন সদস্য নিয়ে এক উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হয়েছে। মুক্তি সংগ্রামের ব্যাপারে নব-গঠিত এই কমিটি বাংলাদেশ সরকারকে ‘যুদ্ধকালীন পরামর্শ দেবেন।

ভাসানীপন্থীও ওয়ালিপন্থী দু’টি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মস্কোপন্থী), বাংলাদেশ জাতীয় কংগ্রেস এবং আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই কমিটি গঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা শ্রী তাজুদ্দিন আমেদ কমিটির আহ্বায়ক। তিনিই কমিটির সভা পরিচালনা করবেন।

গত দু’দিন ধরে এখানে ওই দলগুলির এক যৌথ বৈঠকের পর সর্বসম্মতভাবে ওই গুরুত্বপূর্ণ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এক প্রেসনােটে ওই সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে ঘােষণা করা হয়। | বাংলাদেশ সরকারকে স্বাধীনতা আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে সাত দফার এক প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পূর্ণ স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক সমাধান অসম্ভব ।

আটজনের এই কমিটিতে আছেন-মৌলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী (ন্যাপঃ), শ্রী মণি সিং (কমিউনিষ্ট মস্কো), শ্ৰী মনােরঞ্জন ধর (বাংলাদেশ জাতীয় কংগ্রেস), অধ্যাপক মুজাফফর আমেদ (ন্যাপঃওয়ালি), প্রধানমন্ত্রী শ্রী তাজুদ্দিন আমেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রী খােন্দকার মােসতাক আমেদ। এছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে আরও দু’জন সদস্য আছেন। গত দু’দিনের বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের অন্য সব মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া ছিলেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা এম এ সামাদ।

সাত দফা প্রস্তাব। ওই যৌথ বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয় যে, বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি শান্তিপ্রিয় গণতান্ত্রিক জনসাধারণের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য ভারত এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশকে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে। অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সক্রিয় সাহায্য করার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে বিশ্ববাসীর কাছে আবেদন জানানাে হয়। ওই প্রস্তাবে শেখ মুজিবের জোর জবরদস্তিমূলক বিচার।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শােক। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে গভীর শােক প্রকাশ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রীতাজউদ্দিন আহমেদ এক বিবৃতি দিয়েছেন তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানাবার জন্য বাংলাদেশের অধিবাসীরা এই প্রখ্যাত সাহিত্যিকের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থা দফতরের উপমন্ত্রী শ্রী আমির কিসকু বলেছেন-ডঃ তারাশঙ্করের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের এক গৌরবােজ্জ্বল অধ্যায়ের অবসান ঘটল ।…

১৫ সেপ্টেম্বর ‘৭১