ঢাকা ও কলকাতার কূটনীতিক কর্মীরা ১২ আগস্ট স্বদেশে ফিরছেন
বিশেষ সংবাদদাতা নয়াদিল্লি, ১০ আগস্ট-অবশেষে সুইজারল্যান্ডের মধ্যস্থায় কাজ হয়েছে-ঢাকা এবং কলকাতা থেকে কূটনীতিক কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারবর্গকে নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে দিতে ভারত ও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে এই লােক বিনিময়ের কাজ সম্পন্ন হবে আগামী ১২ আগস্ট। পররাষ্ট্র দফতরের সচিব (পূর্ব) শ্ৰী এস কে ব্যানার্জি মে মাসের গােড়ার দিক থেকেই কূটনীতিকদের স্বদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যে আলােচনা চালিয়েছিলেন, এতদিনে তা ফলপ্রসূ হলাে । | ভারতীয় কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারবর্গ ঢাকা থেকে দিল্লি যাবেন একটি সুইস ও একটি সােভিয়েত বিমানে। কলকাতা থেকে পাক কূটনীতিকরা পশ্চিম পাকিস্তানে যাবেন একটি ইরানী বিমানে। বিমানগুলি একই সময়ে ছাড়ার ব্যবস্থা হয়েছে।
ঢাকা ও কলকাতা থেকে ব্যক্তিগত মালপত্র কর্মচারীরা নিজেদের বিমানেই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। তবে ভারি মালপত্র এবং নথিপত্র সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকবে এবং পরে তা জাহাজে পাঠানাে হবে। এর পরও যা পড়ে থাকবে রাজ্য সরকার তার ভার নিবেন এবং পরে তা পাঠিয়ে দেবেন। | ঢাকা ও কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশন গত ২৬ এপ্রিল বন্ধ হয়। গত মে মাসের গােড়া থেকেই সুইস সরকার এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন।
কূটনীতিকদের ফিরিয়ে আনার কাজে বিলম্বের কারণ হলাে-পাক মিশনের যেসব কর্মী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুগত্য প্রকাশ করেন তাঁদের মনােভাব জানার জন্য তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে কলকাতাস্থ পাক প্রতিনিধি শ্রীমেহদি মাসুদকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের জিদ। কিন্তু বাংলাদেশ মিশনের কর্মীরা শ্রী মেহেদি মাসুদের সঙ্গে দেখা করতে অনিচ্ছুক হন।
উভয় দেশের মধ্যে কূটনীতিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে আলােচনা হয়। সবশেষে সুইস প্রতিনিধিদের চেষ্টায় অচল অবস্থার অবসান ঘটে। সুইস প্রতিনিধিদের একজনকে ভারত ও পাকিস্তানের একজন করে প্রতিনিধির সামনে বাংলাদেশ মিশনের কর্মীদের মনােভাব জেনে নেওয়ার প্রস্তাবে পাকিস্তান সরকার রাজি হন। মিশনের সব কর্মীই বাংলাদেশের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেন।
১১ আগস্ট ‘৭১