এই বছরের শেষে শরণার্থীরা ফিরে যাবেন
বিশেষ সংবাদদাতা নয়াদিল্লি, ২৮ অক্টোবর-বাজেটের হিসাব অনুসারে শরণার্থীরা এই বছরের শেষাশেষি ফিরে যাবেন। আমরা ধারণা করছি যে, তারা এখানে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত থাকবেন। আজ এখানে একথা বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীচবন। তার এই ধারণার ভিত্তি কী তা অবশ্য তিনি ব্যাখ্যা করেননি।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে কয়েকটি বিশেষ দ্রব্যের ওপর ধার্য করা সারচারজ ও লেভি পুরােপুরি সাময়িক এবং শরণার্থী সমস্যা দূর হলে স্বাভাবিকভাবেই সেগুলিও তুলে নেওয়া হবে ।
প্রেস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শ্রীচবন জানান, দেশের অর্থনৈতিক ছবি বিশেষ করে শিল্পগুলির অবস্থা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার যােজনা কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করে শিল্পে উৎপাদন হ্রাসের সঠিক কারণ জানার জন্য চেষ্টা করছেন এবং প্রতিষেধক ব্যবস্থাদিও নিচ্ছেন।
শ্রীচবন যদিও একথা স্বীকার করেন যে, ঘাটতি বাজেটের আর কোন সুযােগ নেই তবু তিনি বলেন যে, এর হাত থেকে রেহাই নেই। কারণ শরণার্থীদের জন্য দেশের অর্থনীতির উপর প্রচণ্ড চাপ পড়েছে। | ৪৫ মিনিটের এই অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী জানান যে ওয়াশিংটনে আয়ােজিত বিশ্ব ব্যাংকের বৈঠকে তিনি গিয়েছিলেন। সেখানে শরণার্থীদের আগমনের ফলে ভারতের অর্থনীতির যে অবস্থা হয়েছে তার একটি সাধারণ চিত্র তিনি তুলে ধরেছেন।
শ্রীচবন আরও বলেন, এই বছরের শেষ পর্যন্ত শরণার্থী ত্রাণের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা সরকারের দরকার। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ১২০ থেকে ১২৫ কোটি টাকা সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবু এ পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে।
তিনি জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে নিশ্চয়ই অর্থনীতির ওপর চাপ পড়বে। ভারত যুদ্ধ চায় না, তবে যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে আমরা সমুচিত জবাব দেব।
তিনি সাংবাদিকদের এই প্রতিশ্রুতিও দেন যে, মজুরি বৃদ্ধির বন্ধের প্রস্তাব নিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে না। মজুরি বৃদ্ধি বন্ধের প্রস্তাব কেবলমাত্র মূল্য ও আয়ের গােটা প্রশ্নের সঙ্গে একযােগে বিবেচনা করা যায়।
অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রীকৃত ব্যাংকগুলি থেকে দেশের দরিদ্র সম্প্রদায় যে সকল পাওয়ার ব্যাপারে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হন তা তার জানা। এ ব্যাপারে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়কের এক বৈঠক ডাকা হয়েছে। তিনি বলেন, এই অসুবিধার পিছনের কারণ হল, গ্রামাঞ্চলের ব্যাংকগুলিতে উপযুক্ত পরিমাণ ট্রেনিংপ্রাপ্ত অফিসারের অভাব।
২৯ অক্টোবর ‘৭১