সম্পাদক সমীপেষু
–বাংলাদেশ তথ্যানুসন্ধান
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে সত্যমিথ্যা মিশ্রিত নানা রকমের বিক্ষিপ্ত কাহিনী প্রকাশিত হয়েছে। এ সম্বন্ধে একটি তথ্যনিষ্ঠ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ রিপোের্ট প্রণয়নের প্রয়ােজনীয়তা অনুভব হওয়ায় ডাঃ রমেশচন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সর্বশ্রী করুণা কুমার হাজরা, রণদেব চৌধুরী, সােমেন্দ্রচন্দ্র বসু, রেভাঃ জন ক্র্যাপহাম ও শৈবাল কুমার গুপ্ত (সম্পাদক) প্রভৃতিকে নিয়ে একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কিন্তু এর প্রয়ােজনীয়তা অনুভব করে বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রাম সহায়ক সমিতি ইহার আংশিক ব্যয়নির্বাহের জন্য কিছু অর্থসাহায্য করেছেন।
কমিটির পক্ষে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে প্রমাণ সংগ্রহ সহজ বা সম্ভব নয়, সুতরাং এপারে আগত শরণার্থীদের বিবৃতির উপরেই তাদেরকে প্রধানত নির্ভর করতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে সম্প্রতি প্রাপ্ত চিঠিপত্রের মধ্যেও মূল্যবান তথ্য থাকতে পারে। সুতরাং যে-সব শরণার্থী ৫ই মার্চ থেকে ২৫ মার্চ এবং ২৫ মার্চের পরবর্তী ঘটনাবলী সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তাহাদিগকে নিম্নলিখিত ঠিকানায় বিবৃতি পাঠাবার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। বিবৃতি তথ্যাশ্রয়ী, অভিজ্ঞতা ভিত্তিক ও যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। বিবৃতি দাতার নাম, বৃত্তি, বাংলাদেশের বাসস্থান এবং বর্তমান ঠিকানা থাকা দরকার, কিন্তু বিবৃতিদাতার ইচ্ছানুসারে সেগুলি গােপন রাখা হবে। চিঠি পত্রের প্রাসঙ্গিক অংশের অনুলিপি রেখে তাহা প্রত্যার্পণ করা হবে। যারা লিখিত বিবৃতি দিতে সক্ষম কমিটি তাদের ঠিকানা পেলে তাদের মৌখিক সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা করতে পারেন। সম্পাদকের সঙ্গে যােগাযােগের ঠিকানা ঃ পি ৪০৪/৫ গড়িয়াহাট রােড। কলিকাতা- ২৯। ফোনঃ (৪৬-৭৮২০) শৈবাল কুমার গুপ্ত সম্পাদক, বাংলাদেশ তথ্যানুসন্ধান কমিটি
২৩ জুলাই, ১৯৭১
সূত্র: গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ খন্ড -০৭ , আনন্দবাজার পত্রিকা