আসন্ন বর্ষায় প্রয়ােজন জলযানের
— সামরিক পর্যবেক্ষক
স্বাধীন বাংলার ফৌজ মােটামুটি ভাবে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের ১৮,০০০ সভ্য, ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের ৬,০০০ সভ্য ও পুলিশ বাহিনীর ৩০,০০০ সভ্য নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে মুক্তিফৌজের কিছু সেনা যুদ্ধ শুরু হবার প্রাক্কালেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে নিরস্ত্র ও বন্দী হয়েছেন, এবং নিরস্ত্র করার সময় বাধা দিতে গিয়ে বেশ কিছু সংখ্যক নিহতও হয়েছেন। আর আছেন আনসার বাহিনী, মুজাহিদ, পল্লীরক্ষী এবং অগণিত আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। এদের মধ্যে কিছুসংখ্যক সামরিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারে অভিজ্ঞ এবং এছাড়া অনেকেই অভিজ্ঞ না হলেও মােটামুটি সামরিক অস্ত্রশস্ত্রাদি ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। এছাড়া আছেন প্রাক্তন সেনাবাহিনী এবং সামরিক শিক্ষাপ্রাপ্ত ছাত্ররা, যারা দলে দলে মুক্তি বাহিনীতে যােগদান করেছেন। নূতন স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করে তাদের যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। পুরাতন মুক্তিযােদ্ধারাও ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা লাভ করে ঝানু সৈনিকে পরিণত হচ্ছেন। সমগ্র দেশ আজ একাত্ম দুর্জয় মনােবল এবং সংকল্পে অটল। প্রাক্তন সেনাবাহিনীর অফিসারগণ এদের পরিচালনা করছেন। বাঙলাদেশের পথঘাট, নদীনালা, আবহাওয়া, ভৌগােলিক তথ্য সম্বন্ধে এরা অভিজ্ঞ। এ ছাড়াও সঙ্গে আছেন অগণিত জনগণ। এঁদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র না থাকলেও আছে মারণাস্ত্র । বাঙলা দেশের জেলে, নমঃশূদ্র এবং বিশেষ করে বিভিন্ন চরের বাসিন্দারা দুর্জয় সাহসী শড়কি কোচ ইত্যাদি ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত। তাই শহর দখল করলেও গ্রামে আধিপত্য করা পাকিস্তান সৈন্যের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। সামান্য কয়েকদিনের অস্ত্র শিক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রায় অসাধ্য সাধন করেছেন। তাই আমরা দেখতে পাই, নিষ্ফল আক্রোশে পাকিস্তানী ট্যাঙ্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কামান দেগেছে। অনুমান করা অসম্ভব নয় স্থল বাহিনীর আক্রমণ বারবার প্রতিহত করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের শবদেহের উপর দিয়েই ট্যাঙ্ক ঘর্ঘর রবে এগিয়ে রক্তমাংসের প্রাচীর গুড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দখল করেছে।
কিন্তু মুক্তি বাহিনী স্বতঃস্ফূর্তভাবে লড়লে ও এখনও সুসংগঠিত নয়। কারণ তাদের ঠিকভাবে সংগঠিত করবার সুযােগই পাননি তাদের নেতারা। ইয়াহিয়া বাহিনীর অপ্রত্যাশিত আক্রমণের ফলে সে সুযােগ মেলেনি। যােগাযােগ ব্যবস্থাও অসম্পূর্ণ, কারণ প্রতিটি যুদ্ধরত বাহিনীর সঙ্গে সামরিক বেতার যন্ত্র সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। যােদ্ধাদের হাতে গুলি বারুদ অস্ত্রশস্ত্র পৌছে দেবার জন্য যে-পরিমাণ যানবাহন চাই তা জোগাড়। করা যায়নি। আহতদের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত সংখ্যক হাসপাতাল নেই। নেই প্রয়ােজনীয় ঔষধ পত্রাদি । ভারী অস্ত্রশস্ত্র যেমন কামান, মর্টার, মিডিয়াম মেশিনগান, বিমান বিধ্বংসী কামান তাে নেই বললেই চলে। হাতে কেবল রাইফেল, সামান্য সংখ্যক মেশিন কারবাইন লাইট মেশিনগান আর বিদূরের ক্ষুদকুঁড়ার মত কয়েকটি গ্রেনেড আর মিডিয়াম মেশিনগান রাইফেলের গুলি না হয় কোনক্রমে জোগাড় হল কিন্তু অটোমেটিক হাতিয়ার। একবার ট্রিগার টিপলেই তাে কারবাইন আর মেশিনগানের তিনটি করে গুলি প্রয়ােজন। সঞ্চয় তাে কেবল রেজিমেন্টাল সেনটার আর পুলিশ আর্মারির গুলি। দুটি অর্ডন্যানস ফ্যাক্টরীর মধ্যে ঢাকার নিকটবর্তী জয়দেবপুরের ফ্যাক্টরীটি মুক্তি সেনার করায়ত্ত হলেও বর্তমানে বিধ্বস্ত। কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে এবং কবে থেকে তা আবার চালু হতে পারে, সীমান্তের এপার থেকে বলা কঠিন। অন্য অর্ডন্যানস ফ্যাক্টরীটি এখনও শত্রু হস্তে। কিন্তু শত্রুকে বাধা দিতে হলে কারবাইন ও মেশিনাগন ব্যবহার অপরিহার্য কারণ অটোমেটিক ও সেলফ লােডিং রাইফেলে আর বিভিন্ন ধরনের ভারী অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত বিমানবাহিনীর সাহায্যপুষ্ট পাকিস্তান বাহিনীকে সম্মুখ সমরে বাধা দেওয়া রীতিমত কষ্টসাধ্য। বলতে গেলে অসম্ভব। কিন্তু সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন মুক্তিযােদ্ধারা। এই সামান্য অস্ত্র আক্রমণের উদ্যোগ। প্রাণ দিতে তাদের কুণ্ঠা নেই। কিন্তু এখানে একটি প্রশ্ন থেকে যায়। এই প্রাণদান সফল হবে তাে? আধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে আজ প্রায় সহায় সম্বলহীন সামান্য অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মুক্তিযােদ্ধারা শেষ পর্যন্ত পারবেন তাে?
ইতিহাসের পাতাতেই এর জবাব মেলে। বিগত মহাযুদ্ধে পূর্ব ইউরােপ ও জার্মান-পদানত রুশ ভূখণ্ডের দেশপ্রেমিকগণের অবস্থা এর চেয়ে ভাল ছিল না। অত্যাচার নিপীড়নের সেই একই ইতিহাস। কিন্তু তবুও তারা লড়েছেন এবং জয়লাভ করে সামরিক ইতিহাসে এক নূতন অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছেন। করেছেন প্রাচ্য খণ্ডে প্রাক্তন ইন্দোচীনের দেশপ্রেমিকরাও। সুচাগ্র বংশ খণ্ড আর কয়েকটি পরিত্যক্ত জাপানী রাইফেল নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকে বিস্মিত করে দীয়েন-বিয়েন-ফুর লড়াইয়ে ফ্রান্সের সমরশক্তিকে তারা চুর্ণ করে দিয়েছিলেন। সেখানেও ফ্রান্স একত্র করেছিল সম্ভাব্য সকল প্রকারের আধুনিক মারণাস্ত্র আর সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ সেনাবাহিনীকে। কিন্তু তবুও তাদের শেষ পর্যন্ত শােচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করতে হয়েছিল। কারণ? এক পক্ষে নিকৃষ্ট অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হলেও দুর্জয় মনােবলসম্পন্ন আদর্শবাদী স্বাধীনতাকামী মুক্তিযােদ্ধাগণ, আর। অন্যদিকে শ্রেষ্ঠতর অস্ত্রশস্ত্রধারী বেতনভুক সেনাদল, যাদের ছিল না কোন আদর্শ আর মনােবল। একই কারণে দুর্জয় মনােবলসম্পন্ন আদর্শবাদী বাংলার মুক্তিযােদ্ধাগণেরও জয় অনিবার্য। কিন্তু এর জন্য আরও অনেক মূল্য দিতে হবে। বিভিন্ন রণাঙ্গনে পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান বাহিনীর অত্যাচারও আরও বেড়ে যাবে। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আমদানী করা হবে আরও ট্যাঙ্ক, আরও বিমান। বােমাবর্ষণ, আকাশ থেকে নির্বিচারে মেশিনগানের গুলিবর্ষণ আর ট্যাঙ্কের লৌহচক্রে গুঁড়িয়ে যাবে গ্রাম বাংলার কুটির, গােলন্দাজ বাহিনীর গােলা নির্মম আক্রোশে ধ্বংস করবে বাংলাদেশের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক পীঠস্থান-বসতবাটি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের। তাজা খুনে লাল হয়ে যাবে বাংলাদেশের মাটি নদী খাল বিল। কিন্তু তবুও জয় অনিবার্য নয়। দধীচির অস্থিতে রচিত হবে নূতন দিনের নূতন ইতিহাস-এই বিধিলিপি।
একটি যুদ্ধ জয়ের জন্য আক্রমণকারী বাহিনীর পাঁচটি মৌল উপাদান অতি অবশ্য প্রয়ােজন। অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারে অভিজ্ঞ রণনিপুণ সেনাদল শত্রুর রণকৌশল, শক্তি প্রতিরক্ষা ব্যুহের অবস্থান, যােগাযােগ ব্যবস্থা প্রভৃতি সর্বপ্রকার খবর সুষ্ঠভাবে সংগ্রহের ব্যবস্থা; সহজ ও সঠিক পরিকল্পনা; দুর্জয় মনােবল এবং প্রয়ােজন অনুযায়ী উপযুক্ত সরবরাহ ব্যবস্থা। এই পাঁচটি মৌল প্রয়ােজন বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, যুদ্ধ যতই দীর্ঘায়িত হবে ততই পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে যাবে। পাকিস্তানের যুদ্ধে অভিজ্ঞ রণনিপুণ সেনাদল আছে, কিন্তু অন্তত পক্ষে শত্রু সম্বন্ধে সর্বপ্রকার খবর সংগ্রহের ব্যবস্থা (Intellegence) নিতান্তই দুর্বল। শত্রুর সম্বন্ধে সমস্ত খবর সংগৃহীত না হলে পরিকল্পনা যথাযােগ্য হতে পারে না। বলাই বাহুল্য এবং বিশেষ করে বাংলাদেশে অনিয়মিত বাহিনীর সঙ্গে যে ধরনের যুদ্ধ চলেছে সে ধরনের যুদ্ধ সর্বোচ্চ অধিনায়ক থেকে নিম্নতম সৈনিক পর্যন্ত প্রত্যেকেরই অজানা এবং এমতবস্থায় কোন কোন সংঘর্ষে পাকিস্তান বাহিনীর সাময়িক জয় হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে সাফল্যের সম্ভাবনা সুদূরপরাহত। | বাঙালীদের পাকিস্তানী রাষ্ট্রের শত্রু বলে পাকিস্তানী বাহিনীর মনােবল বাড়াবার প্রচেষ্টা হতে পারে, কিন্তু দিনের পর দিন ক্রমাগত সংঘর্ষ এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরাজয়ে পাকিস্তানী বাহিনীর মনােবল চিড় খেতে বাধ্য। বিশেষ করে চারিদিকেই ঘিরে আছে বাঙালী বাহিনী। এজন্যই আমরা দেখতে পাই, পাকিস্তানী বাহিনীর কোন কোন স্থানে পরাজয় হলেও পাকিস্তান রেডিও ‘অবস্থা স্বাভাবিক বলে প্রচার করেছে। স্বভাবতঃই পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়া পাকিস্তান বাহিনীর পক্ষে সমস্ত রণাঙ্গনের সঠিক খবর পাওয়া সম্ভব নয়। তাই তাদের মনােবল রক্ষার জন্য এধরনের প্রচার রণকৌশলেরই অন্তর্গত বলে ধরতে হবে। কিন্তু কোনও এলাকার পরাজয়ের পর যে সময়ে পাকিস্তানী সেনাদের মনােবল দুর্বল হয়ে পড়েছে, তখন সেই অবস্থায় এ ধরনের প্রচার প্রতিকূল অবস্থারই সৃষ্টি করে এবং ক্রমাগত এ ধরনের প্রচার পাকিস্তানী বাহিনীর মনােবলের উপর প্রচণ্ড আঘাত আনবে। বিগত মহাযুদ্ধে বিভিন্ন দ্বীপে অবরূদ্ধ জাপানী বাহিনীও এই একই কারণেই ধীরে ধীরে মনােবল হারিয়ে পরাজয় বরণ করেছিল।
পাকিস্তান বাহিনীর “অ্যাকিলীসহীল” তার সরবরাহ ব্যবস্থা। সামরিক রীতি অনুযায়ী পশ্চাৎভাগ থেকে রণাঙ্গনে খাদ্য ও যুদ্ধের সাজ সরঞ্জাম পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়। কারণ দীর্ঘায়িত সরবরাহ ব্যবস্থায় রণাঙ্গনে সরবরাহ পৌছাতে অহেতুক বিলম্ব হয় এবং শত্রুর পক্ষেও দীর্ঘায়িত সরবরাহ ব্যবস্থার উপর বারংবার আঘাত হেনে সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত করতে সুবিধা হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ইউরােপের বিভিন্ন রাষ্ট্রে স্বদেশপ্রেমিকগণ এভাবেই বারবার জার্মান সরবরাহ ব্যবস্থার উপর আঘাত হেনে জার্মান বাহিনীর পরাজয় তরান্বিত করেছে। বাঙলাদেশের বিভিন্ন বন্দরে সরবরাহ পৌছান সম্ভব হলেও রণাঙ্গনে পৌছতে হবে রেলপথে। বাঙলা দেশের মুক্তিযােদ্ধাগণ নিশ্চয়ই এ সুযােগ ছেড়ে দেবেন না। রেলওয়ে শ্রমিকগণ সঙ্গে থাকায় রেলপথ অচল করে দেওয়া এবং যদি সামরিক ব্যবস্থায় জোর করে প্রেরণের চেষ্টা চলে তাহলে রাতের অন্ধকারে রেল শ্রমিকগণ কর্তৃক উপযুক্ত স্থানে রেল লাইন উপড়ে ফেলা বা দেশপ্রেমিক গ্রামবাসিগণের সক্রিয় সহযােগিতায় উপযুক্ত স্থানে রেল সেতু ধ্বংস করা বা বিস্ফোরণের সাহায্যে উড়িয়ে দেওয়া অত্যন্ত সহজ।
উপরন্তু আছে খাদ্য ও পানীয়ের প্রশ্ন। পাকিস্তান বাহিনীকে খাদ্য ও পানীয় সংগ্রহ করতে হবে যুদ্ধরত এলাকা থেকেই। টিনে ভরতি কিছু খাদ্য ও পানীয় জল, বিশুদ্ধ করবার ঔষধ সত্ত্বেও, প্রায় এক লক্ষ সৈন্য বাহিনীর পক্ষে যথেষ্ট হবে না। বঙ্গবন্ধু মুজিবর” শত্রুকে “ভাতে ও পানিতে মারতে হবে” শ্লোগানের পর খাদ্য এবং বিশেষ পানীয় সমস্যাই হয়তাে পাকিস্তান বাহিনীর পক্ষে মারাত্মক হয়ে দেখা দেবে। যতদূর মনে হয় এযুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে। কিন্তু আর কিছু দিনের মধ্যেই পূর্ববঙ্গে নামবে দূরন্ত বর্ষা। খাল বিল ভরে যাবে, অধিকাংশ গ্রামই হয়ে উঠবে দ্বীপের মত। পদ্মা, মেঘনা, শীতলক্ষা হয়ে উঠবে উত্তাল উদ্দাম। যােগাযােগ ববস্থা রক্ষা করতে হলে পাকিস্তানের প্রয়ােজন হবে বিভিন্ন ধরনের অগণিত জলযান, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা অসম্ভব। বাধ্য হয়েই পাকিস্তানকে তার সমস্ত সেনাবাহিনীকে গুটিয়ে নিয়ে আসতে হবে গুটি কয়েক শহরের চৌহদ্দিতে। কিন্তু এ সব শহরেও যােগাযােগ রক্ষার জন্য প্রয়ােজন হবে জলযানের। এবং ইতিহাস বলে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই বাঙালী নৌযােদ্ধারা অতুলনীয়।
২১ এপ্রিল, ১৯৭১
সূত্র: গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ খন্ড -০৭ , আনন্দবাজার পত্রিকা